দেশের চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন প্রযুক্তি, সংশ্লিষ্ট পণ্য ও মেশিনারিজ প্রদর্শন করতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গতকাল শুরু হয়েছে লেদার ও ফুটওয়্যার প্রদর্শনী।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শিল্প খাতে বিপ্লব ঘটাতে সারা দেশে চামড়া পণ্যের কারখানা স্থাপনে প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হচ্ছে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের আধুনিক স্বয়ংক্রিয় মেশিনারিজ। প্রদর্শনীতে গিয়ে দেখা গেছে, ভারত চীন, তাইওয়ানসহ বিশ্বের নামকরা চামড়াজাত শিল্পের প্রযুক্তি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, বিকল্প চামড়া প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান তাদের স্টল সাজিয়েছে। এখানে ফিনিশড চামড়ার পাশাপাশি জুতা, ট্রাভেল ব্যাগ, বেল্ট, মানিব্যাগ, জ্যাকেট, চাবির রিং, কার্ড হোল্ডারসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের মেশিনারিজ প্রদর্শন করা হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতাদের জন্য না হলেও যারা চামড়াজাত পণ্যের কারখানা গড়তে চান তাদের পদচারণে মুখরিত ছিল মেলাপ্রাঙ্গণ। বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের স্টলে সাজিয়েছে পণ্য উৎপাদনের আধুনিক যন্ত্রপাতি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা উদ্যোক্তারাও ছিলেন প্রদর্শনীতে। চামড়াশিল্প খাতসমূহের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় টেনিং লেদারের মেশিনারি, ম্যানুফ্যাকচারিং ফুটওয়্যার, চামড়াজাত পণ্য, কম্পোনেন্টস, ডাই, কেমিক্যাল, অ্যাকসেসরিজ ও সংশ্লিষ্ট পণ্য এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক মেশিনারিজে ফিনিশড চামড়া দিয়ে পণ্য উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তি। মাত্র একটি মেশিন দিয়ে একটি ব্যাগ তৈরি করা যায় এমন আধুনিক মেশিনারিজ এসেছে মেলায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব মেশিনারিজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা প্রদানসহ কারখানায় গিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা স্থাপন করে দেবেন। স্বল্প মূলধনে চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রকল্প প্রোফাইল তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রকল্প প্রোফাইল নিয়ে একজন উদ্যোক্তা সহজে গড়ে তুলতে পারবেন আধুনিক কারখানা। তিন দিনব্যাপী এই ট্রেড শোর প্রথম দিনে বাংলাদেশের চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও ফুটওয়্যার শিল্পের প্রয়োজনীয় মেশিনারি, কম্পোনেন্ট, কেমিক্যাল এবং অ্যাকসেসরিজ প্রদর্শিত হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের আধুনিকায়ন এবং উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়াই এ আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য। স্থানীয় শিল্পকে চামড়াশিল্পের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং এর উৎস সম্পর্কে জানাতে এবারের আয়োজনে মেশিনারি, কম্পোনেন্ট ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ বিস্তৃত পরিসরে উপস্থাপন করা হবে। বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে তৈরি পোশাক ও চামড়াশিল্পসংশ্লিষ্ট ২২৩টি শিল্পোদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সাড়ে ৪ শতাধিক স্টলে এসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের উৎপাদিত পণ্য, প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করছে। এটি শিল্পকারখানায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও চামড়াশিল্প খাতের গুণগত পরিবর্তনে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।