শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঐতিহ্য

ঠাকুরগাঁওয়ের শীতলপাটির কদর বেড়েছে

আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ের শীতলপাটির কদর বেড়েছে

গরমে একটুখানি স্বস্তি পেতে কদর বেড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের শীতলপাটির। শুয়ে-বসে একটু শান্তি পেতে শীতলপাটির বিকল্প অন্য কিছু ভাবেন না অনেকেই। শুধু শীতলতার পরশে নয় লোকজ এই ঐতিহ্য ধারণ করে গায়ে হলুদসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আভিজাত্য। তবে বিভিন্ন কারণে এই পাটির ব্যাপক ব্যবহার এখন আর নেই। এরপরও কিছু মানুষ ধরে রেখেছেন এই পাটি বোনা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কলোনীপাড়া গ্রামে গেলে দেখা মিলবে এই পাটিবোনার কাজ। ওই গ্রামের অনেক নারী শীতলপাটি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। পরিবারের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাই শীতল পাটি বোনেন। একটি বড় সাধারণ পাটি ৯০০ থেকে ১০০০টাকায়  বিক্রি হয়। এ ছাড়া মাঝারি ও ছোট আকারের শীতলপাটিও আছে। এগুলো নকশা ডিজাইন ও মাপ অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। কলোনী পাড়া গ্রামের রোকাসানা বেগম বলেন, আগে পাটি বানানোর পর বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হতো। এখন লোকজন এসে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। কলোনীপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এই গ্রামের অনেক নারী পাটি বোনার কাজ করেন। নিজেদের বোনা পাটি বিক্রি করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। গ্রামের আব্দুল সবুর মিয়া বলেন,তিনি ও তার স্ত্রী মিলে পাটি বুনে সংসার চালান। তবে পাটি বোনার মোর্তাক গাছ পর্যাপ্ত পরিমাণ না থাকায় এই পেশা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

ওই গ্রামের কলেজপড়ুয়া মেয়ে আয়েশা, রোজিনা, বিলকিস ও সুমি জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি বিকালে সবাই মিলে পাটি তৈরির কাজ করি। এতে পড়াশোনার খরচ ও নিজের চলার মতো যথেষ্ট অর্থ উপার্জন হয়। পাটি কিনতে আসা মনসুর আলী ও লুত্ফর রহমান মিঠু জানান, গরমে তোশকের উপর শীতলপাটি বিছিয়ে শুলে আরামে ঘুমানো যায়। নিজের ও মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো জন্য কিনতে আসা। বিশিষ্ট সমাজসেবক রজব আলী বলেন, সরকারি সহায়তা পেলে, শীতল পাটি তৈরি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন অনেকেই। টিকে থাকবে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প।

সর্বশেষ খবর