শিরোনাম
শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ড্রোন ব্যবহার নয়

রুহুল আমিন রাসেল

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতিবেদন বা প্রামাণ্যচিত্র তৈরিতে কোনো সাংবাদিক ড্রোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রতিষ্ঠানটি কাস্টমস আইনের আলোকে ছয়টি শর্তে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আনা ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম ছাড়করণের অনুমোদন দিয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে আসা জার্মান সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম ছাড়করণ-সংক্রান্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ২৭ জুলাই এক বিশেষ আদেশ জারি করেছে এনবিআর। ৭ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (শুল্ক : রপ্তানি ও বন্ড) ফরিদা ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিবেদন বা প্রামাণ্যচিত্র তৈরির জন্য জার্মানি থেকে পাঁচজন সাংবাদিকের সঙ্গে ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম (ড্রোন ছাড়া) আনা হবে। এজন্য ‘ইকুইপমেন্ট ফর মিয়ানমার বাংলাদেশ’ শিরোনামে তালিকা প্রেরণ করা হয়। ওই তালিকায় উল্লিখিত পণ্যসমূহ বাংলাদেশে শুল্কমুক্তভাবে সাময়িক আমদানি ও পুনঃ রপ্তানির অনুমোদন দিতে এনবিআরকে অনুরোধ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কাস্টমস ও ভ্যাট আইনের আলোকে ছয়টি শর্তে জুড়ে দেয় এনবিআর। এই শর্তসমূহ হলো— এক. কাস্টমস কমিশনারের কাছে প্রতিটি পণ্য চালানের জন্য পৃথক পৃথক অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে। দুই. রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিবেদন ও প্রামাণ্যচিত্র তৈরি কার্যক্রম শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে পণ্য চালানসমূহ পুনঃ রপ্তানি করতে হবে। তিন. পণ্যসমূহ শুল্কায়নকালে সংশ্লিষ্ট শুল্ক বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের অনাপত্তিপত্র দাখিল করতে হবে। চার. পণ্যসমূহ রপ্তানির আগে কাস্টমস হাউসে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র দাখিল করতে হবে। পাঁচ. খালাস পর্যায়ে কায়িক পরীক্ষার মাধ্যমে আমদানি পণ্যের মডেল, সিরিয়াল নম্বর ইত্যাদি সংরক্ষণ করতে হবে। পরে পুনঃ রপ্তানিকালে পণ্যসমূহ একইভাবে মিলিয়ে যথাযথভাবে রপ্তানি সম্পন্ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতা পাওয়া গেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ছয়. আমদানি করা পণ্য চালানসমূহ পুনঃ রপ্তানি সম্পন্ন হলে প্রতিষ্ঠানের আবেদনসাপেক্ষে রপ্তানি-সংক্রান্ত সব দলিল যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলে দাখিল করা অঙ্গীকারনামা অবমুক্ত করা হবে।

সর্বশেষ খবর