মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইন্দোনেশিয়ায় ফের ভয়াবহ ভূমিকম্প নিহত ৯১

প্রতিদিন ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় পর্যটনদ্বীপ লমবকে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে এই ভূমিকম্পে অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৯। পাশের বালি দ্বীপেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের ফলে হাজার হাজার স্থাপনা ভেঙে পড়েছে এবং বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ যোগাযোগ। রবিবার রাতে ভূকম্পন শুরু হলে পাশের দ্বীপের লোকজন আতঙ্কে বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে ছোটাছুটি করছে। ভূমিকম্পের পরপরই সারা দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে গভীর রাতে তা তুলে নেওয়া হয়। ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পের পর দ্বিতীয় দফায় দুটি পরাঘাত হয়। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে আরও ২৪টি পরাঘাত হয়। ভূকম্পনটির কেন্দ্র ছিল ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় লমবক দ্বীপে সপ্তাহখানেক আগে আরেকটি ভূমিকম্পে ১৭ জন নিহত হন।

উদ্ধারকারী কর্মকর্তা জানান, বেশির ভাগ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে লমবকের প্রধান শহর মাতারামে। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে ঘরবাড়ি। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে হুড়মুড় করে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। শহরের বিভিন্ন অংশ বিদ্যুিবচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে শানমুগাম বর্তমানে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে লমবকে ছিলেন। ভূমিকম্পের পর ফেসবুকে লেখেন, তিনি হোটেলের দশম তলার একটি কক্ষে থাকছেন। ভূমিকম্পে পুরো ভবন প্রচণ্ড কেঁপে ওঠে। দেয়ালে ফাটল ধরে। দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। ভূমিকম্পের কিছু সময় পর বালি ও লমবক দুই দ্বীপের বিমানবন্দরেই বিমান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়, কারণ এটি পৃথিবীর রিং অব ফায়ারের ওপর অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলো এই রিংয়ে রয়েছে। ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে ৯ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রলয়ঙ্করী সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলের কয়েকটি দেশে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার লোক নিহত হয়। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়াতেই প্রাণ হারায় ১ লাখ ৬৮ হাজার জন। বিবিসি, এএফপি

সর্বশেষ খবর