রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

এই মেয়াদেই শুরু শান্তিনগর ঝিলমিল ফ্লাইওভারের কাজ

পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার

মানিক মুনতাসির

প্রস্তাবিত শান্তিনগর-ঝিলমিল ফ্লাইওভারের নকশা চূড়ান্ত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ইতিমধ্যে তিনটি বিডারের (দরপ্রস্তাব) প্রস্তাবনা জমা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই বিডার নির্বাচন করা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই এ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হতে পারে। রাজউক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর মাসেই প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে চায় সরকার। তবে প্রকল্পটির অর্থায়ন নিয়ে কিছুটা জটিলতা এখনো রয়ে গেছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। এজন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান খোঁজা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দু-একটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহও দেখিয়েছে বলে জানা গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এমনও হতে পারে সরকারের একক অর্থায়নে প্রকল্পটির কাজ শুরু করা হবে। পরে কোনো বিনিয়োগকারী এলে তাকে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

প্রস্তাবিত শান্তিনগর-ঝিলমিল ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকল্পটির নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিডার যাচাই করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নির্বাচনের আগেই প্রকল্পটির কাজ হয় তো শুরু করা যাবে।

জানা গেছে, প্রকল্পটি প্রথমে শান্তিনগর থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও পরিবর্তিত নকশা অনুযায়ী এটি ফকিরাপুল আরামবাগ ইন্টারসেকশন থেকে কদমতলী ইন্টারসেকশন হয়ে চুনকুটিয়া পর্যন্ত গিয়ে ল্যান্ডিং পয়েন্ট পৌঁছাবে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেছে রাজউক। সর্বশেষ নতুন যে নকশা করা হয়েছে সে অনুযায়ী এ ফ্লাইওভারের মোট দৈর্ঘ্য হবে ১২ দশমিক ১ কিলোমিটার। তবে ডিটিসিএর অনুমোদন অনুযায়ী এর দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার। চার লেনবিশিষ্ট অংশের দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ২২ কিলোমিটার এবং দুই লেনবিশিষ্ট অংশের দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮৮ কিলোমিটার। পুরো ফ্লাইওভারে আপ র‌্যাম্পের সংখ্যা থাকবে পাঁচটি আর ডাউন র‌্যাম্প পাঁচটি। টোল প্লাজা থাকবে তিনটি। এটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। পরিবর্তিত নকশা অনুযায়ী ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়লে প্রকল্পটির মোট ব্যয় দাঁড়াবে ২ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। পরিবর্তিত নকশা অনুযায়ী এটিই হবে দেশের দীর্ঘতম ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাল ধরা হয়েছে চার বছর।

সর্বশেষ খবর