সোমবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
বন্ধুকে পিঠে নিয়ে সাঁতার

ডুবে মারা গেল উইলস লিটল স্কুলের দুই ছাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর রমনা লেকে গোসল করতে নেমে ডুবে গিয়ে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো আবদুল্লাহ আল মাহফুজ (১৫) ও নাঈমুজ্জামান চৌধুরী আদনান  (১৫)। দুজনই কাকরাইল উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের নবম শ্রেণির ছাত্র। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছেন, বিকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে দুই ছাত্র ডুবে যাওয়ার খবর পান তারা। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ডুবুরি দল পাঠানো হয়। তারা পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। বিকাল সাড়ে ৪টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আদনান ও মাহফুজের সহপাঠী আরিফ হোসেন জানায়, তারা তিন বন্ধু স্কুলে না গিয়ে রমনা পার্কে যায়। সেখানে খেলাধুলা করতে গিয়ে কাপড় ময়লা হয়। পরে তারা গোসলের জন্য লেকের পানিতে নামে। এর মধ্যে মাহফুজ শুধু সাঁতার জানত। তিনজন পানিতে নামলেও আরিফ বেশি গভীরে যায়নি। আরিফ জানায়, মাহফুজ বলে, ‘আদনান আমার পেছনে ধর, আমি ওই পাড়ে নিয়ে যাই।’ আদনান তার পেছনে ধরে। মাহফুজ সাঁতার দিয়ে যাওয়ার সময় লেকের মাঝামাঝি স্থানে দুজনই তলিয়ে যায়। তখন আরিফ চিৎকার করলে পাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। জানা গেছে, আদনান তার বাবা হাসানুজ্জামান ও মা নাছিমা আক্তারের সঙ্গে গুলবাগের ২৭৬/এ নম্বর বাসায় থাকত। তাদের বাড়ি নোয়াখালীর মাইজদী থানার আদালতপাড়ায়। দুই ভাইয়ের মধ্যে আদনান ছোট। এদিকে, মাহফুজ তার বাবা মাসুদ মিয়ার সঙ্গে বিজি প্রেস স্টাফ কোয়ার্টারে থাকত। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মিরেরপাড়ায়। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাহফুজ বড়। কাকরাইল উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন বলেন, ‘মাহফুজ ও আদনান দুজনই নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। আজ (গতকাল) তারা স্কুলে আসেনি। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমি তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি জানান, আজ (সোমবার) স্কুলের ক্লাস বন্ধ থাকবে। ছাত্র-শিক্ষক সমন্বয়ে শোক পালন করা হবে। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেন।

সর্বশেষ খবর