মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ব্যাংক সুদ কমানোয় আবাসনশিল্পে নতুন সম্ভাবনা : রিহ্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ১২ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর জন্য ৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ প্রদানের পরিপত্র বা নির্দেশনা জারি করায় আবাসনশিল্পে নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করে রিহ্যাব। সরকারের এমন উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে রিহ্যাব বলেছে, পরিপত্রের কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কম সুদে ঋণ পাওয়ার আশায় ফ্ল্যাট ক্রয়ের আগ্রহ বেড়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর হলে আবাসন খাতে স্থবিরতা কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। তাই খুব দ্রুত এই পরিপত্র কার্যকর করার আশা প্রকাশ করেছে রিহ্যাব। গতকাল রাজধানীর সুন্দরবন হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন। এতে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের প্রথম সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহসভাপতি মো. আহকাম উল্লাহ প্রমুখ। ওই সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন আবাসনের সঙ্গে সব খাতে সিঙ্গেল ডিজিট সুদের ঋণ চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো ঘোষণা অনুযায়ী এক অংকের বেশি সুদ নিচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের কঠোর নজরদারি দরকার। তার মতে, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোভাবের জন্যই সরকারি কর্মচারীরা এই সুযোগ পাচ্ছেন। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সাহসী এবং গতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য সুপরিকল্পিত আবাসন নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আবাসন খাতের অবদান প্রায় ১৫ শতাংশ। সমগ্র নির্মাণ খাত বিবেচনায় আনলে জিডিপিতে এর অবদান দাঁড়াবে ২০ শতাংশের ওপরে। আবাসন খাতে সেকেন্ডারি বাজার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা খুবই আশাবাদী। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে সরকারের সম্মতি পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, সরকারের ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীরা ৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ পাবেন। এর আওতায় জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ মিলবে। ঋণের মোট সুদহার ১০ শতাংশ। যার মধ্যে ৫ শতাংশ দেবে সরকার। বাকি ৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবেন। ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর