শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
দৃষ্টি বদলাচ্ছে ধর্মীয় দলগুলোর

কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবেন আলেমরা

——মুফতি ফয়জুল্লাহ

শরিফুল ইসলাম সোহাগ

কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবেন আলেমরা

কওমি স্বীকৃতির জন্য বেফাকের সহসভাপতি ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং পরকালীন জীবনে কল্যাণের আশায় কওমি স্বীকৃতির মোবারক কাজটি করেছেন। তার এই নিষ্ঠার কারণে তিনি ইহ ও পরকালীন জীবনে এর সর্বোত্তম প্রতিদান পাবেন, বাংলাদেশের লাখ লাখ আলেম-ওলামা, ছাত্র শিক্ষক তার এই বদান্যতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ অর্জনের পেছনে রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। বহুমনীষী ও ব্যক্তিত্বের সীমাহীন মেহনত, রাজপথের রক্ত ঝরানো বহু আন্দোলন, সংগ্রাম, অসংখ্য আল্লাহপ্রেমিকের অশ্রু, ঘাম, রক্ত ও আল্লাহর দরবারে অহর্নিশ কান্নাকাটির ফল এটি। মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, প্রায় আড়াইশ বছর পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারের চক্রান্তের কারণে কওমি মাদ্রাসা অবহেলিত হয়ে আসছিল। নানা ধরনের চক্রান্তের কারণে এর সরকারি মান ছিল বাধাপ্রাপ্ত। বর্তমান শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে সব ওলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় আমরা সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং সরকার কওমি সনদকে মূল্যায়ন করেছে। তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসার ওলামায়ে কেরাম ও শিক্ষার্থীরা এদেশের সুনাগরিক। তারা নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জাতির খেদমত করছেন। কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে সবগুলো ধাপ অতিক্রম করে বোর্ডে পরীক্ষা পাস করে দাওরায়ে হাদিস (মার্স্টাস)-এর ডিগ্রি লাভ করে। কিন্তু একটি অপশক্তি এই স্বীকৃতি নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী একটি ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারের সন্তান হিসেবে কওমি শিক্ষার প্রতি ওনার সুধারণা রয়েছে। এরই আলোকে তিনি কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে মাস্টার্সের সমমান দিয়ে মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর