রবিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

আন্দোলনকারীদের মুক্তি দিন

আহ্বান অ্যামনেস্টি ও সুজনের

প্রতিদিন ডেস্ক

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকার আন্দোলনকারী ও নাগরিকসমাজের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে অভিযোগ করে তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনে সহিংসতা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ প্রায় ১০০ ব্যক্তিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে। খবর বিডিনিউজের। অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপপরিচালক ওমর ওয়ারিশ বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের অবশ্যই এ দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে, মুক্তি দিতে হবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের। সরকারের পদক্ষেপ যেন নাগরিকসমাজের প্রতিনিধিদের মনে এ ভয় না জাগায় যে, পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার হতে হবে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার ওপরও জোর দিয়েছে অ্যামনেস্টি।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, ক্যাফে মালিক ফারিয়া মাহজাবিনকে গ্রেফতারের নিন্দাও জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাকে যেখানে সরকার নিজেই ত্রুটিপূর্ণ বলে স্বীকার করে নিয়েছে, সেখানে এ ধারাটিরই আবার প্রয়োগ করতে দেখা যাচ্ছে।

মুক্তি দাবি সুজনের : কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ এবং গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যেভাবে গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ওই দুটি আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের গ্রেফতার এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আন্দোলনে সহিংস ঘটনা ও উসকানির অভিযোগে দায়ের হওয়া ৫২টি মামলায় ৯৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পক্ষান্তরে আন্দোলন দমনের নামে যারা পুলিশের পাশে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং যারা গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘আমরা সুজন-এর পক্ষ থেকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার এবং কোটা প্রথার সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ এবং গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই।’

সর্বশেষ খবর