রবিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
কোরবানির পশুর হাট

চাহিদা বেশি মাঝারি আকারের গরুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল আজহার মাত্র আর দুই দিন বাকি। রাজধানীর হাটগুলোতে কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দ্বিতীয় দিন ক্রেতা সমাগম আগের দিনের চেয়ে ছিল বেশি। হাটে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা অনেক বেশি। আজ রবিবার থেকে গরু-ছাগল বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন বেপারিরা। গতকাল সারাদিনই রাজধানীর গাবতলী, মিরপুর ডিওএইচএস ও সেতু প্রপার্টিজ সংলগ্ন খালি মাঠে, গোলাপবাগ, ৩০০ ফুট, ১০০ ফুট সংলগ্ন, শনির আখড়া ও আফতাবনগরে কোরবানির হাটে গরুভর্তি ট্রাক আসতে থাকে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত রাজধানীতে প্রায় ৫ লাখ কোরবানির পশু ঢুকেছে। 

বিভিন্ন পশুর হাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদারীপুর, জামালপুর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহী থেকে ঢাকায় গরু নিয়ে এসেছেন বেপারিরা। এর মধ্যে কুষ্টিয়া থেকে আনা গরুর সংখ্যাই বেশি। কেউ নিজ খামারে, কেউ বাড়ির পালা গরু নিয়ে এসেছেন।  মেহেরপুর থেকে মাঝারি আকারের ১৮টি গরু আফতাবনগর হাটে তুলেছেন মুসলিম উদ্দিন। তিনি এক গরুর দাম এক লাখ টাকা চেয়েছেন। কয়েকজন ক্রেতা গরুগুলো দেখে গেছেন। দামে বনিবনা না হওয়ায় তারা কেনেননি। রিপন নামে এক ক্রেতা বলেন, বেপারিরা গরুর দাম ধরে রেখেছেন। তারা নিচে নামতে চাচ্ছেন না। যে গরু ৬০ হাজার হওয়ার কথা, তারা ৯০-৯৫ হাজার টাকা চাচ্ছেন। সফিকুল নামে আরেক বেপারি জামালপুর থেকে ২৫টি গরু নিয়ে এসেছেন নতুনবাজার হাটে। তিনি জানান, গরু আনার সময় পথে তার কোনো সমস্যা হয়নি। কোনো বাধার সম্মুখীন হননি। কিন্তু ঢাকার ভিতরে বিভিন্ন ইজাদারের বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। মেরাদিয়া হাটের আবদুস সামাদ নামে একজন জানালেন, টাঙ্গাইল থেকে ট্রাকে করে ১২টি গরু নিয়ে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তারা ঢাকায় ঢোকেন। তারা গরুগুলো গোলাপবাগ হাটে তোলার জন্য যাচ্ছিলেন। পথে রামপুরা ব্রিজে একই ধরনের লাল টি-শার্ট পরা ২০-২৫ জন যুবক সিগন্যাল লাইট হাতে নিয়ে হুইসেল বাজিয়ে তাদের ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে পথরোধ করেন। অনেকটা বাধ্য করেন তাদের মেরাদিয়া হাটে যেতে। একই হাটের শহিদ নামে একজন বলেন, তিনি যেসব গরু এনেছেন তা এক লাখ টাকার কমে বিক্রি করবেন না। যদি এই দাম না পান, তাহলে বিক্রি না করে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন। ওয়াসিম নামে এক ক্রেতা বলেন, একই আকারের গরু গত বছর তিনি ৬০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন। এক বছরে দাম বড়জোর ১০ হাজার টাকা বেশি হতে পারে। এক লাখ টাকা অতিরিক্ত দাম এই গরুর জন্য। এত দাম কেন চাইছে, অবাক লাগছে। তবে  বেপারিদের গত্বাঁধা অজুহাত, খড়সহ গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরুর দাম বেশি।

সর্বশেষ খবর