সোমবার, ২০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগে যোগদানের হিড়িক

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার হিড়িক শুরু হয়। সে সময় এই যোগদান নিয়ে বিতর্কও ওঠে। এরপর দলের ভিতরে কোণঠাসা হয়ে পড়েন অনেক ত্যাগী নেতা। এবার জাতীয় নির্বাচনের আগেই এমন যোগদানের হিড়িক শুরু হয়েছে। এবার শোক দিবসের দিনেও যোগদান অনুষ্ঠান করা হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, এমন যোগদান বন্ধে আগেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। যারা যোগদান করতে চান তারা আবেদন করবেন। সেই আবেদন ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা হয়ে কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে। এরপর কেন্দ্র অনুমতি দিলে যোগদান করানো যাবে। তবে অনেক এমপিই কেন্দ্রের সেই নির্দেশনা মানছেন না। রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) এলাকায় ২০১৪ সালের শুরুর দিকেই যোগদান কার্যক্রম শুরু করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। তার হাত ধরে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কাঁকনহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল মজিদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সারোয়ার জাহান ডাবলু, সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক এবিএম কামারুজ্জামান বকুল, যুবদল সভাপতি রবিউল ইসলাম বাবু, গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ও চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। সর্বশেষ গত ১৫ আগস্ট বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ইসহাক আলী। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির হাত ধরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

তিনি ছিলেন, ব্যারিস্টার আমিনুল হকের আস্থাভাজন বিএনপি নেতা। রাজশাহী মহানগরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর কাছের নেতা হিসেবে পরিচিত ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মনির হোসেন, বিএনপি নেতা ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সোবহান, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামসহ ওয়ার্ড পর্যায়ের বেশ কিছু নেতা সিটি নির্বাচনের আগেই বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকার পক্ষে প্রচার চালান। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার জানান, কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়, এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে, এমন মানুষ যোগদান করলে কোনো আপত্তি নেই। তবে শুধু স্বার্থের জন্য কেউ দল ত্যাগ করছে কিনা সেটা লক্ষ্য রাখা দরকার। নগর আওয়ামী লীগ সেই বিষয়টি ভালোভাবে দেখছে।

সর্বশেষ খবর