বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

গ্রেনেড হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাননি বাবর

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঞ্চল্যকর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলার ঘটনাস্থল তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের অফিসের খুব কাছেই ছিল। এর পরও তিনি সেদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাননি। গতকাল বাবরের পক্ষে সপ্তম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রেজাউর রহমান। নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে একসঙ্গেই বিচার চলছে দুটি মামলার। মামলায় এ পর্যন্ত ৪৪ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান ছাড়াও বিশেষ পিপি মো. আবু আবদুল্লাহ ভুঁইয়া, আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল, ফারহানা রেজা, আমিনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গতকাল আসামি বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী নজরুল ইসলাম। পরে এ যুক্তিতর্ক অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম আজ বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। যুক্তিতর্কে বাবরের আইনজীবী দাবি করেন, তার মক্কেল ২১ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন         না। পরে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান আসামিপক্ষের যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের বলেন, আসামি বাবর ২১ আগস্ট ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত, রাষ্ট্রপক্ষ তা সাক্ষ্য ও তথ্য-প্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে দলীয় সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় দলীয় নেত্রী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। এ ঘটনার দুটি মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। তার মধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ও সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। ফলে এ মামলা থেকে তাদের নাম বাদ পড়েছে। অবশিষ্ট ৪৯ আসামির বিচার চলছে। আসামিদের মধ্যে আটজন জামিনে ও ১৮ জন পলাতক। বাকি আসামিরা কারাগারে রয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় পর্যায়ক্রমে তদন্ত ও চার্জশিটে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামও যুক্ত হয়েছে আসামির তালিকায়।

সর্বশেষ খবর