শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

চলনবিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান বীজতলা

নাটোর প্রতিনিধি

চলনবিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান বীজতলা

চলনবিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান বীজতলা। খাল, বিল ও নদীতে এ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এ বীজতলা। উপজেলার বালুভরা, চৌগ্রাম, হুলহুলিয়া, পাকুরিয়া, ডাহিয়া, ইটালীসহ ২৪টি স্থানে ভাসমান বীজতলা তৈরি হয়েছে। সরেজমিন সিংড়া পৌরসভার পাটকোল বিলে গিয়ে দেখা যায়, ৮ জন কৃষক সম্মিলিতভাবে বীজতলা তৈরি করেছেন। কৃষক সিরাজুল ইসলাম স্বপন জানান, প্রথমে পানিতে কলার ভুরা দিয়ে বেঁধে তারপর উপরে কচুরিপনা দিয়ে গ্যাপ পূরণ করার পর মাটি সমান করে বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। ১৫ থেকে ২০ দিনে চারা পরিপূর্ণতা লাভ করে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এবারই প্রথম চলনবিল সিংড়া এলাকায় এ বীজতলা তৈরি করা হয়। মূলত হাওর এলাকায় ভাসমান বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বীজ সংকট মেটায়। গত বছর আগাম বন্যায় চলনবিলসহ সিংড়া এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বন্যাপরবর্তী ৩৪ ধানের  রোপা আমন আবাদ করলে কৃষকরা লাভবান হতে পারে। বিশেষ করে এই চারা রোপণে ফলন ভালো হয়।

দামও বেশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, সিংড়া উপজেলার ২৪টি স্থানে সরকারি সহায়তায় এ ধরনের উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, এ ধরনের চারা আপদকালীন চারা হিসেবে কৃষকদের কাজে লাগবে। প্রতিটি স্থানে এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২০ দিনে পরিপূর্ণ চারা তৈরি হয় এবং রোপণের উপযুক্ত হয়। এতে কৃষকদের মধ্যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর