টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনের কাছে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেন ডা. রেহেনা পারভীন। এদিকে পুলিশ বাসের চালকসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস যাত্রী নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিল। রাতে যাত্রী কম থাকায় পথিমধ্যে কিশোরী ছাড়া সব যাত্রী তাদের গন্তব্যস্থলে নেমে যায়। কিশোরী একা থাকায় ড্রাইভার, সুপারভাইজার ও হেলপার মিলে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে মহাসড়কে টহলরত পুলিশ বাসটিকে তাড়া করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে হেলপারকে ধরে ফেলে। বাকি দুজন পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখে। কিশোরী তার নাম আর কুষ্টিয়াতে তার বাড়ি ছাড়া আর কিছু না বলতে পারায় তাকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বলে ধারণা করে পুলিশ।
