শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
রুহুল হকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

কোনো রাজাকারপুত্রকে মনোনয়ন নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হককে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা-৩ আসনের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। তারা বলেন, রুহুল হক একজন রাজাকারের ছেলে। কোনো রাজাকারপুত্রকে মনোনয়ন নয়। জাতির পিতার আদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে হবে।

গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আফসার উদ্দীন বাবলু, সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের সদস্য মো. সাগর, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সহ-প্রচার সম্পাদক মো. আলাল হোসেন, সাতক্ষীরাবাসী  মো. মঈন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক মন্ত্রী থাকাকালে দুর্নীতি করেছেন, নিয়োগ-বাণিজ্য করেছেন, কমিশন খেয়েছেন এবং বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। তার কারণে ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের বিভীষিকাময় কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী নিহত ও পঙ্গু হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুহুল হককে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। দলে বিদ্রোহ সৃষ্টি হবে। বক্তারা বলেন, ডা. আ ফ ম রুহুল হক নিজের আত্মীয়স্বজনকে অবৈধ অর্থ অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। দলের নেতা-কর্মীরা তার কাছ থেকে কোনো ধরনের সুবিধা পাননি। তার অনেক অপকর্মের হোতা তার ভগ্নিপতি ও ভাগ্নে। তারা দুজনই বিএনপির লোক। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডে একজন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। শতকরা ৮০-৯০ ভাগ লোক নিয়োগ পায় টাকার বিনিময়ে। এদের অধিকাংশ বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লোক। তার পিএস-এপিএস এবং নিজস্ব হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারের কতিপয় কর্মচারী এবং আত্মীয়স্বজনের সহায়তার টাকা লেনদেন হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন আ ফ ম রুহুল হক, যে কারণে আজ সব রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসার ভগ্নদশা। তিনি আশাশুনি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি। গত ১০ বছরে এখানে প্রায় ৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে রুহুল হক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর