শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সরকারি চাকুরেদের গৃহঋণ আবেদন করতে হবে অনলাইনে

ঋণ পাবেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও হাউস বিল্ডিং করপোরেশন থেকে

মানিক মুনতাসির

সরকারি চাকরিজীবীরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসমূহ ও হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন থেকে গৃহঋণ নিতে পারবেন। এর বাইরে তারা বেসরকারি কোনো ব্যাংক থেকে এ সুবিধা পাবেন না। এজন্য গৃহঋণের অভিন্ন আবেদনপত্র প্রস্তুত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে আবেদনকারীর জন্য কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইন) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও ২৮ রকমের তথ্য সরবরাহ করতে হবে আবেদনকারীদের। আগামী ১ অক্টোবর থেকে অনলাইনে ওই আবেদনপত্রে গৃহঋণের জন্য আবেদন করা যাবে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গৃহঋণের জন্য একটি অভিন্ন আবেদনপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। আবেদনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, চাকরির স্থায়ীকরণপত্র, বেতনের রশিদ, সম্ভাব্য পেনশন থেকে আয়, ব্যাংকের হিসাব বিবরণ ও অন্য ব্যাংকে যদি কোনো ঋণ নেওয়া থাকে— এ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

জানা গেছে, যে কোনো আবেদনকারী প্রাইভেট প্লটের জন্য ৪-৬টি দলিল এবং সরকারি/লিজ পাওয়া প্লটের জন্য ৪-৭ দলিল ইচ্ছা অনুযায়ী পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের যে কোনো একটিতে অথবা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে জমা দিতে পারবেন। ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে অর্থবিভাগ। জানা গেছে, ১০ শতাংশ সুদে এই ঋণের পাঁচ শতাংশ দেবে সরকার, বাকি পাঁচ শতাংশ বহন করবে ঋণগ্রহীতাকে। এজন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে ঋণ নেওয়ার জন্য অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান মনোনীত করার আগে অর্থ বিভাগের অনুমতি নিতে হবে। ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ (ঋণ পরিশোধ শুরুর সময়) ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। গৃহঋণ নীতিমালার আওতায় জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেডভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। উপ-সচিব থেকে সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা, জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম থেকে প্রথম  গ্রেডভুক্তরা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ কিংবা ফ্ল্যাট ক্রয় করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন। জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সরকারি চাকুরেরা এ সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। এটাকে একটা নির্বাচনী কৌশল বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন। এটা তাদের প্রাপ্য। এমনকি এ সুবিধা আরও আগে চালু করা প্রয়োজন ছিল বলে তারা মনে করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক একজন সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটা নিঃসন্দেহে একটা নির্বাচনী কৌশল। তবে এ সুবিধা আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এর মাধ্যমে নিম্ন আয়ের অনেক সরকারি চাকুরে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন।

সর্বশেষ খবর