শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বাজারদর

বেড়েছে সবজির দাম কমেছে পিয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে ৩০ থেকে ৫০ টাকায় পৌঁছে যাওয়া পিয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল এ পণ্যটি প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কমেছে ইলিশ মাছের দাম। গতকাল এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের জোড়া বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা সবজি। পটোল, করল্লা, ঢেঁড়স, ঝিঙাসহ সব ধরনের সবজির  কেজি ৫০ টাকার ওপরে। গতকাল রাজধানীর মিরপুর ও মহাখালী বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজার করতে আসা ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক মাস ধরেই পটোল, ঝিঙা, ধুন্দল, করল্লা, ঢেঁড়সসহ প্রায় সব সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা ছিল। কিন্তু বন্যার কারণে সবজির দাম আরও বেড়েছে। বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, বাজার ও মান ভেদে প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ঝিঙার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকায়। ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, করলা ৬০ টাকায়। ঢেঁড়সের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকায়। এ ছাড়া গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম ৫০ টাকা। প্রতি কেজি বরবটির দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। ২০ থেকে ২৫ টাকা হালি বিক্রি হওয়া কাঁচকলার দাম ৩০ টাকা, আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচও।

প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে বয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সাদা বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়। অনেকটাই স্থির রয়েছে রসুনের দাম।

প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। মহাখালী বাজারের পিয়াজ-রসুন বিক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, রসুনের দাম স্থিতিশীল। সবজি বিক্রেতা মমতাজ মিয়া বলেন, আড়ত থেকে বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। আড়তে সবজির মজুদও কম। আর বেশি দামে কিনে আনার কারণে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। মিরপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. জামাল হোসেন বলেন, বন্যার কারণে কয়েক দিন ধরে সবজি কম আসছে। আর সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি শিম বিক্রি করেছি ১১০ টাকায়। গতকাল আড়ত থেকেই কিনতে হয়েছে ১০০ টাকার ওপরে। ফলে ১২০ থেকে ১৩০ টাকার নিচে বিক্রি করার সুযোগ নেই। এ ছাড়া রুই, কাতলা, শিং, কৈ, বাইল্যা, পুঁটি, মৃগেল ও টেংরা, চিংড়ি মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লইট্যা, কোরাল ও রূপচাঁদা মাছের সরবরাহ বেড়েছে।

সর্বশেষ খবর