মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভাঙনে হুমকিতে বাঁধ ও সেতু

আরও ঘরবাড়ি গেল নদীতে, হাহাকার আশ্রয়হীনদের

প্রতিদিন ডেস্ক

ভাঙনে হুমকিতে বাঁধ ও সেতু

পদ্মায় স্রোতের তীব্রতা খানিকটা কমে যাওয়ায় শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ভাঙনের তীব্রতা কমেছে। তবে কুষ্টিয়ায় গড়াই নদী পাড়ে ভাঙনের কারণে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী রক্ষা বাঁধ ও রাসেল সেতু হুমকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা ও পাগলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বহু এলাকা ডুবে গেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

শরীয়তপুর : নড়িয়ায় পদ্মা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি ও স্রোত কম থাকায় ভাঙনের তীব্রতা কমেছে। আবার পানি কমতে শুরু করলে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে বলে স্থানীয়রা জানান। গতকাল পর্যন্ত দুই দিনের ভাঙনে শুভগ্রাম, বাঁশতলা, দাস পাড়া, পূর্ব নড়িয়া ও উত্তর কেদারপুর গ্রামের ৬০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর ওপর সদ্য নির্মিত কুষ্টিয়া-হরিপুর শেখ রাসেল সেতু নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। পাশাপাশি ওই জনপদের রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা, ঘরবাড়ি ও জায়গা জমিও হুমকির মুখে রয়েছে। গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও করতোয়ার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ঘাঘটের পানি ২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের ৫ সেন্টিমিটার, তিস্তার ৭ সেন্টিমিটার এবং করতোয়ার পানি ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়। ব্রহ্মপুত্র ছাড়া অন্য নদীগুলো এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। বগুড়া : বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি এখন বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জেলার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার যমুনা নদী এলাকার প্রায় সহস  মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

সর্বশেষ খবর