মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
গ্রেনেড হামলা হামলা

রায়ের দিন ঠিক হতে পারে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হচ্ছে আজ। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের আইনি বিষয়ে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন এ মামলার প্রধান কৌঁসুলি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কের জবাব প্রদান শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান। আজ তার অসমাপ্ত সমাপনী যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য দিন ঠিক করবেন ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে মামলা দুটির বিচার চলছে। গতকাল আইনগত বিষয়ের ওপর যুক্তি উপস্থাপন করে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, এক যুগের বেশি সময় পর হলেও আমরা দুটি মামলা একসঙ্গে এ পর্যায়ে আনতে পেরেছি। আশা করি মঙ্গলবার চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হবে। এ পর্যায়ে তিনি এ মামলার জামিনে থাকা ৮ আসামির জামিন বাতিলের জন্য আবেদন দাখিল করেন।  একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে হাওয়া ভবনসহ দশ ষড়যন্ত্রের স্থান এবং হামলার ব্যবহূত ১৫টি গ্রেনেডের কথা উল্লেখ করে সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, হাওয়া ভবন ছিল সব ষড়যন্ত্রের প্রধান কেন্দ্র। ওই স্থানগুলোতে বসেই ২১ আগস্ট হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ছক করা হয়েছিল বলে তিনি যুক্তি দেন। গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংবলিত ২৫টি পত্রিকা আদালতে উপস্থাপন করেন তিনি।

 এ ছাড়া এ দুই মামলার সব আসামির বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করে সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন তিনি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান এই মামলায় অধিকতর তদন্ত আইনসঙ্গত হয়নি বলে ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তিনি বলেন, ফৌজদারি মামলায় বিলম্ব ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে একটি বড় বিষয়। গ্রেনেড হামলার মোটিভ একজনের থাকতে পারে, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, অন্য আসামিদেরও থাকবে। তিনি বলেন, এই মামলাটি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। কারণ, মামলার সৌন্দর্য প্রসিকিউশন টিম, আর বড় দুর্বলতা তদন্ত। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান, বিশেষ পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল, মো. আবু আবদুল্লাহ্ ভুঁইয়া, আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল, অ্যাডভোকেট ফারহানা রেজা, অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান, আশরাফ হোসেন তিতাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে দলীয় সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় দলীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং আহত হন কয়েকশ মানুষ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর