বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন

প্রধান স্টেশনের কাজ শুরু

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

প্রধান স্টেশনের কাজ শুরু

অবশেষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের প্রধান স্টেশনের কাজ শুরু হয়েছে। কক্সবাজার শহরে নির্মিতব্য এই স্টেশনটি হবে ঝিনুক আকৃতির। ঝিনুক আকৃতির এ স্টেশন দেখলেই পর্যটক, দর্শনার্থীসহ যাত্রীরা বুঝতে পারবেন এটি একটি বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতের শহর। বর্তমানে স্টেশনের ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে। এ প্রকল্পটির বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। ইতিমধ্যে প্রকল্প এলাকার অর্ধেকেরও বেশি ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্রিজ নির্মাণ কাজ, রেললাইনের রাস্তা নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে একই সঙ্গে। এ প্রকল্পটির কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মধ্যে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন স্থাপিত হলে যোগাযোগসহ দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলবে। ব্রডগেজসহ ডুয়েল লাইনের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে এ প্রকল্প। এর মধ্য দিয়ে পর্যটন শহর সাগর কন্যা কক্সবাজার রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। এতে পর্যটনশিল্পের যেমন বিকাশ ঘটবে, তেমনি বিস্তৃত হবে সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যও। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ইতিমধ্যে একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, রেলের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. মফিজুর রহমান বলেন, এ রেললাইনের পাশাপাশি প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলছে। ইতিমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। চলছে রেললাইনের রাস্তা নির্মাণ, ব্রিজ নির্মাণসহ প্রকল্পের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৩৫ কোটি টাকা।

প্রকল্পে যা আছে : দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এবং রামু পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটারসহ মোট ১২৮ কিলোমিটার নতুন ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ। পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় এনে পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, কাগজের কাঁচামাল, বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহন এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডর মিসিং লিংক নির্মাণ। দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার এবং রামু পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হবে। ১২৮ কিলোমিটার রেলপথে স্টেশন থাকছে ৯টি। চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পে ৬১৩ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পটি সরকারের ফাস্টট্র্যাক প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ভবিষ্যৎ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর