বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভাঙন-বন্যায় দীর্ঘ হচ্ছে পানিবন্দী ও গৃহহীনদের সারি

প্রতিদিন ডেস্ক

ভাঙন-বন্যায় দীর্ঘ হচ্ছে পানিবন্দী ও গৃহহীনদের সারি

বরগুনার আমতলীর ভাঙনকবলিত জয়ালভাঙ্গা গ্রাম

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। আমতলীতে ১৫ দিনে অর্ধশত একর জমি ও শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পায়রার ভাঙনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।  গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— শরীয়তপুর : নড়িয়ায় পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত দুই দিনের ভাঙনে উপজেলার শুভগ্রাম, বাঁশতলা, পূর্বনড়িয়া, উত্তর কেদারপুর ও পূর্ব কেদারপুর গ্রামের ৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এ নিয়ে গত তিন মাসে পদ্মার ভাঙনে নড়িয়ার তিনটি ইউনিয়নে ও পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে ৬ হাজার ২৫০ পরিবার গৃহহীন হলো। গতকাল সন্ধ্যায় জব্বার বেপারির তিনতলা একটি ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এদিকে পদ্মার স্রোতের গতিপথ পরিবর্তনে নদী খননের জন্য নড়িয়ায় একটি ড্রেজার এলেও কাজ শুরু করতে পারেনি। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ভাঙনকবলিতদের আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। ভাঙনকবলিত সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। আমতলী : বরগুনার পায়রা নদীর ভাঙনে আমতলী উপজেলার পশ্চিম ঘটখালী, পৌর শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড, লোচা, আড়পাঙ্গাশিয়ার পশুরবুনিয়া, বালিয়াতলী, পচাকোড়ালিয়া স্লুুইস, মৌপাড়া, গাবতলী, নকড়ী, তেঁতুলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গার অর্ধশত একর ফসলি জমি ও শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, এ বছর পায়রার ভাঙন রোধের কোনো পরিকল্পনা নেই। আগামী অর্থ বছরে উদ্যোগ নেওয়া হবে। গাইবান্ধা : গত দুই দিন ধরে তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি কমছে এবং ঘাঘটের পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ার হারও কমে এসেছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায় গতকাল ব্রহ্মপুত্রের পানি ১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর