শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাজধানীতে মাদক বিরোধী ক্র্যাশ প্রোগ্রাম গ্রেফতার ১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

চোলাই মদের ছোট ছোট ঘরগুলো গলির ভেতরে। স্থানীয়রা জানান, ‘দিন গড়িয়ে রাত হলেই অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা বেড়ে যেতো। এসব ঘরে চোলাই মদ তৈরি ও বিক্রি করা হচ্ছিল। তখন মাদকে ভাসতো ঘরগুলো।’ রাজধানীর ভাটারা থানার জগন্নাথপুরে অন্তত ৩০টি ঘরে অভিযান চালিয়ে গতকাল দুপুরের ৩০ হাজার চোলাই মদসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করার পর এ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন স্থানীয়রা।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ভাটারা থানায় মামলা করা হয়েছে। সারাদেশে ১৫ দিনব্যাপী মাদকবিরোধী ক্র্যাশ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। ডিএনসি’র ঢাকা বিভাগীয় প্রধান ফজলুর রহমান জানান, জগন্নাথপুরের ক/২৮/এ/৭ নম্বর বাড়িসহ পাশের আরও দুটি বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ ও মদ তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। এ সময় মদ উৎপাদন ও সংরক্ষণের দায়ে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যে পরিমাণ কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়েছে তা দিয়ে হাজার হাজার লিটার চোলাই মদ তৈরি করা যেতো। জব্দ হওয়া মদ ঘটনাস্থলেই কেরোসিন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। জানা গেছে, অভিযান চালানো তিনটি বাড়িতে অন্তত ৩০টি ছোট ঘর রয়েছে। এসব ঘরই ছিল চোলাই মদের কারখানা। পচা ভাতের সঙ্গে কেমিক্যাল মিশিয়ে এ মদ তৈরি করা হতো। রাখা হতো প্লাস্টিকের ড্রামে। গ্লাাসে করে ক্রেতার কাছে এ মদ বিক্রি করা হতো। এ ছাড়াও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা জগন্নাথপুরের এই বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকতো। মাদকবিরোধী ক্র্যাশ প্রোগ্রাম প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে ১৫ দিনব্যাপী আমাদের এই অভিযান শুরু হয়েছে। ডিএনসি’র তত্ত্বাবধানে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় আমাদের এ অভিযান চলবে। চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে এই ক্র্যাশ প্রোগ্রামের আওতায় সারাদেশে অন্তত ৩ হাজার মাদক স্পটে অভিযান পরিচালিত হবে। এদিকে ডিএমপি’র ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ৪৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে ২ হাজার ৯৫১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫৩৫ গ্রাম ২৮২ পুরিয়া হেরোইন, ১৩৫৫ গ্রাম গাঁজা ও ৩২৯ কেজি খাত উদ্ধার করা হয়। মাদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর