মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বৈরী আবহাওয়ায় ঝুঁকিতে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন : এফএও

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বার্ষিক এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি জানায়, ঘূর্ণিঝড়কে শস্য ক্ষতির সবচেয়ে বড় হুমকি বিবেচনা করেছে তারা। এ ছাড়া খরা ও বন্যার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র : বাসস।

গত সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বেশি হয়। এতে করে সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা মিঠা পানিতে জমা হচ্ছে। ফলে বিশুদ্ধ পানির অভাবে খাদ্য উৎপাদন অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে। ‘স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেশি হয় সেখানে মানুষ পুষ্টিহীনতায় বেশি ভোগে। এ ছাড়া যেসব দেশের জনসংখ্যার বিশাল অংশ কৃষিক্ষেত্রের ওপর নির্ভরশীল সেসব দেশেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পুষ্টিহীনতা দেখা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, খরার মতো দুর্যোগকেই আগে শুধু শস্য ধ্বংসের দুর্যোগ মনে করা হতো। কিন্তু অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টিকে কখনোই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার আঘাতে বাংলাদেশে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। এতে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল চাষাবাদের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে ধান উৎপাদন কম হলে প্রায়ই চালের দাম বেড়ে যায়। এফএও’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যে শস্য উৎপাদনের হার কমে গেছে। বিশেষ করে গম ও চাল। জলবায়ু পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এটি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত কয়েক বছরে শস্য উৎপাদন হয় এমন অঞ্চলে উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং শস্য উৎপাদনের হার হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টিপাতেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে যেসব স্থানে বৃষ্টিপাত হতো এখন তেমনটি নেই।

সর্বশেষ খবর