বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

রূপে রঙে উজ্জ্বল পদ্মবিল

চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, হবিগঞ্জ

রূপে রঙে উজ্জ্বল পদ্মবিল

রূপে রঙে উজ্জ্বল হবিগঞ্জের পদ্মবিল সৌন্দর্য পিপাসুদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে। পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়। ইতিমধ্যে যাদের জমিতে পদ্মবিলটি গড়ে উঠেছে, তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের আওতায় এনে বিলটি সংরক্ষণের চিন্তা করছেন জেলা প্রশাসক। এ লক্ষ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে         জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ফি সংগ্রহ করা যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের মুড়ারআব্দা গ্রামের পাশে প্রায় ১৫ একর জমিতে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে এই পদ্মবিল। এর মধ্যে বিলের জায়গা মাত্র ১ একর। বাকিটুকু ধানি জমি। মুড়ারআব্দাসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন শুকনো মৌসুমে এসব জমিতে বোরো আবাদ করে থাকেন। বর্ষায় পানি এলে এসব জমিতেই ফুটে পদ্ম। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদ্মবিলের খবর ছড়িয়ে পড়লে ভিড় বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের। বিলের সৌন্দর্য দেখে ফেরার পথে ফুল ছিঁড়ে নিয়ে আসার ঘটনায় দেখা দেয় বিরূপ প্রতিক্রিয়া। এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হলে তা প্রশাসনের নজরে আসে। গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সপরিবারে পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করে আসেন। পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যান হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি বৃন্দাবন কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের পদ্মবিল দর্শন আর দশজন পর্যটকের মতো নয়। তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে পদ্মফুল, ফল থেকে শুরু করে সবকিছু। তারা নিয়ে এসেছে গাছও। যেটি লাগানো হবে কলেজের পুকুরে।

তাদের ইচ্ছা কলেজের পুকুরটিও ভরে ফেলবে পদ্মফুল দিয়ে। পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি নিজেদেরও জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের একটি টিম পদ্মবিল পরিদর্শন করে। উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র দেবের নেতৃত্বে কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই বিল দেখে মুগ্ধ হন। তবে তারা কেউ যাতে ফুল ছিঁড়ে না নেয় তার দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।

সর্বশেষ খবর