রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

নান্দনিক সুন্দর পাখি দুধরাজ

মোস্তফা কাজল

নান্দনিক সুন্দর পাখি দুধরাজ

নান্দনিক ও অনিন্দ্যসুন্দর পাখি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে দুধরাজ। এ পাখিকে দুঃসাহসী ও সুনয়নাও বলা হয়। এ প্রজাতির পুরুষ পাখি সাদা লম্বা লেজের হয়। এর সঙ্গিনী লালচে-বাদামি হয়। লেজ পুরুষ পাখিটির চেয়ে ছোট। মুখমণ্ডল কালো এবং উভয়ের মাথায় রাজবেশী মুকুট চুল। লেজঝোলা, সাদা সিপাহি, লাল সিপাহি ও সাহেব বুলবুলি নামেও পরিচিত এরা। এ পাখির লেজসহ দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার। ওজন কমবেশি ২০ গ্রাম। নানাবিধ কারণে দিন দিন এ পাখির সংখ্যা কমছে। দুধরাজ পাখিটি কমান্ডো স্টাইলে অন্য শিকারি পাখি পেঁচা ও কাককে আঘাত করে; পাশাপাশি বোঝানোর চেষ্টা করে তার সীমানা ছেড়ে যাওয়ার জন্য। এ কারণেই পাখিবিশেষজ্ঞরা একে দুঃসাহসী পাখি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। স্ত্রী পাখিটি ডিম দেওয়ার পর বাসা সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করে পুরুষ দুধরাজ। কড়া পাহারা বসায়।

কখনো ডিমে তা দেয় এবং সর্বদা বাসার চারপাশ খেয়াল করে বাড়ির ত্রিসীমানায় কোনো শিকারি পাখি যাতে আসতে না পারে। শুধু কি তাই! সাপ, বেজি, গুই, কাক, চিল এমনকি পোষা কুকুর, বিড়াল কাউকেই কাছে ঘেঁষতে দেয় না। এসব প্রাণী কাছে আসতেই একটি বিশেষ সুরে আওয়াজ করে ওদের তাড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে।

অন্য নিরীহ পাখিরাও এ সুবিধা পাওয়ার জন্য দুধরাজ পাখির বাসার আশপাশে বাসা তৈরি করে। এ পাখি ৪ থেকে ৫টি গোলাপি রঙের ডিম পাড়ে। ১৫ থেকে ২১ দিনের তায়ে ছানা ফোটায়। এদের খাদ্য উড়ন্ত কীটপতঙ্গ, লার্ভা ও ফুলের নির্যাস। সুযোগ পেলে তাল- খেজুরের রসও পান করে। পুরুষ ছানারা লালচে-বাদামি হয়। পরে একেবারে দুধসাদা রঙের হয়ে যায়। মেয়ে ছানারা সারা জীবনই লালচে-বাদামি থাকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর