পাবনায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক চরমপন্থি নেতা নিহত এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে ধরা পড়েছেন। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর—

পাবনা : পাবনায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থি নেতা আবুল হোসেন ওরফে আবু নকশাল (৫৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোররাতে ধোবাকোলা এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, আবু পূর্ব রাঘবপুর এলাকার মৃত গোলাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এম  এল লাল পতাকার পাবনা জেলা কমান্ডার। বন্দুকযুদ্ধের সময় ৪ পুলিশও আহত হয়েছে। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুল হক বলেন, পাবনা শহরের পূর্ব রাঘবপুর এলাকা থেকে আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের একটি দল গতকাল ভোর রাতে সদর উপজেলার ধোপাকোলা বড় ব্রিজ এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে আগে থেকে ওতপেতে থাকা আবুর সহযোগীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে যায়। এ ঘটনায় আবুল হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১টি রিভলবার, ৪ রাউন্ড গুলি, ৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করেছে। নিহত আবুল হোসেনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরকসহ ৯টি মামলা রয়েছে।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নূরে আলম জানান, রাতে শিয়ালা গ্রামে মাদক কেনাবেচা চলছিল। খবর পেয়ে গোদাগাড়ী থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে অবস্থানরত তিন-চারজন ব্যক্তিকে আত্মসমপর্ণের নির্দেশ দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। কয়েক মিনিট গুলি বিনিময়ের পর সবাই পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকেন টিটো। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টিটোর বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি লেগেছে। ঘটনার সময় দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি এমপি কার্টিজ ও ৩০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় টিটো ছাড়াও অজ্ঞাত তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে। টিটোর বিরুদ্ধে আগের আরও চারটি মাদকের মামলা আছে।