শিরোনাম
বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলেই প্রার্থীর হিড়িক

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলেই প্রার্থীর হিড়িক

বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলা নিয়ে নওগাঁ-৩ আসন। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে এ আসনটির পরিচিতি থাকলেও নবম  এবং দশম সংসদ নির্বাচনে এটি চলে যায় আওয়ামী লীগের দখলে। এরই মধ্যে সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন টাঙিয়ে নিজেদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী বিজয়ী হন। আবার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ছলিম উদ্দীন তরফদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আকরাম হোসেনকে পরাজিত করেন। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সুপ্ত দুটি ভাগ রয়েছে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যকে ঘিরে। সভা-সমাবেশগুলোতেও তা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া রয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা এনামুল কবীর। তিনি ১৯৯৬ সালের আলোচিত ‘জনতার মঞ্চ’ মামলার আসামি ছিলেন।  এছাড়া সাবেক পুলিশ সুপার মরহুম আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী ও বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সখিনা সিদ্দিক, মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম আনছারী, কুয়েটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার ডি.এম মাহবুব উল মান্নাফ শুভ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনের মাঠ ছিল বিএনপির দখলে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিতে কোন্দল দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। দুই উপজেলায় বিএনপির কোন্দল চরমে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল ২০১৪ সাল থেকে বদলগাছী থানা বিএনপির সভাপতি পদে রয়েছেন। ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর তার কপাল খুলে যায়। এক সময় সাবেক ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে একাই যুদ্ধ করেছেন তিনি। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত রাখার পাশাপাশি তিনি দুই উপজেলার সব নেতা-কর্মীর পাশে রয়েছেন সবসময়। ফজলে হুদা বাবুল বলেন, এ আসন থেকে যদি তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে আওয়ামী লীগ, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, হিন্দু, বৌদ্ধ সবাই এক বাক্যে ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করবেন। কেননা; ভোটররা প্রার্থী হিসেবে তরুণদের পছন্দ করছেন। এছাড়া বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকারের ছেলে আরেফিন সিদ্দিকী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা বিএনপির সদস্য রবিউল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওগাঁ ছাত্র অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম শফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ এর সাবেক ছাত্রনেতা আসফ কবির চৌধুরী। আর জাতীয় পার্টি থেকে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নওগাঁ জেলার সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর