নোয়াখালীর উপকূলীয় হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ভাসানচর রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য এখন প্রস্তুত। চলতি অক্টোবর মাসের যে কোনো দিন প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে এ রোহিঙ্গা পুনর্বাসন কেন্দ্র। ইতিমধ্যে বেড়িবাঁধ, বাসস্থান, সাইক্লোন শেল্টার, মসজিদ, অভ্যন্তরীণ সড়ক, লাইট হাউসসহ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নোয়াখালীর ভাসানচরটির দৈর্ঘ্য ১২ কিমি এবং প্রস্থ ১৪ কিমি। এখানে ৯ মাস ধরে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করা হবে এখানে। বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে বিশাল এ চরে নির্মাণ করা হচ্ছে থাকার ঘর, খেলার মাঠ, পুকুর, মসজিদ, হাসপাতাল, সড়ক, লাইট হাউস, গার্ডেন, সাইক্লোন শেল্টার, সোলার সিস্টেমসহ আনুষঙ্গিক অনেক কিছু। তৈরি হচ্ছে ১ হাজার ৪৪০টি টিনশেড পাকা ঘর। প্রতিটি শেডে রয়েছে ১৮টি রুম। শেডের দুই পাশে থাকছে বাথরুম আর কিচেন। প্রতি ৪ সদস্যবিশিষ্ট পরিবারকে দেওয়া হবে একটি করে রুম। প্রতি রুমে থাকছে দোতলাবিশিষ্ট ২টি বেড। মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা এ চরকে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে নিরাপদ রাখার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ১৪ কিমি বেড়িবাঁধ। আর অধিবাসীদের নিরাপদ রাখতে ৪ তলাবিশিষ্ট ১২০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে, মাটি থেকে ৪ ফুট উঁচুতে গড়ে তোলা হচ্ছে বাসস্থান। সূত্র জানায়, খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ভাসানচর রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য উপযোগী করার কাজ। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ। প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই বাকি কাজ শেষ হওয়ার আশা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, ভাসানচরে পুনর্বাসিত রোহিঙ্গাদের জন্য সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে এই চরকে সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে অক্টোবর মাসেই প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।