বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

‘মাদক কারবারিদের ভিত নড়িয়ে দিয়েছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘একের পর এক সারা দেশে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানের মধ্য দিয়ে আমরা মাদক কারবারিদের ভিত নড়িয়ে দিয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে, আমরা সেটি বাস্তবায়নে কাজ করছি। মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ গতকাল দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ডিএনসি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এ সময় ডিএনসি পরিচালক (অপারেশন্স ও গোয়েন্দা) এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) নজরুল ইসলাম শিকদার, সহকারী পরিচালক (ঢাকা মেট্রো-উত্তর) খোরশিদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ডিএনসি ডিজি আরও বলেন, আকস্মিক অভিযানের জন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ে টাস্কফোর্স কাজ করছে। ইয়াবার অনুপ্রবেশ রোধে টেকনাফে টাস্কফোর্স অভিযান চালাচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে স্ট্র্যাটেজিক কমিটি কাজ করছে। সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানদের সমন্বয়ে এনফোর্সমেন্ট কমিটি গঠিত হয়েছে। ডিএনসি ডিজির নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি, এপিবিএন, কোস্টগার্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে কোর কমিটি কাজ করছে। মাদক কারবারিদের তাত্ক্ষণিক সাজা দেওয়ার জন্য দুজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের মাদক ব্যবসায়ীদের ঠিকানা ও স্পট টার্গেট করে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে মাদক দুষ্প্রাপ্য হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। ডিএনসি প্রধান বলেন, ‘খাত’ বা নিও সাইকোট্রফিক সাবকন্সাটেন্স (এনপিএস) একটি ভয়াবহ মাদক। বিশ্বব্যাপী মাদকের তালিকায় এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইথিওপিয়া থেকে ‘গ্রিন-টি’ হিসেবে আমদানি করা নতুন এ মাদককে তালিকাভুক্ত করার জন্য এরই মধ্যে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন হলেই এ মাদকটি আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। বাংলাদেশে খাত আমদানি করে তা আবার বিদেশে রপ্তানি করার সঙ্গে ২০-২২ জনের একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, আমরা আইনটি তৈরির সময় যেসব মাদকের তালিকা দিয়েছিলাম, আইনে সেগুলোই থাকছে; কোনোটি পরিবর্তন করা হয়নি। তবে প্রস্তাবিত নতুন মাদক আইনে যে কোনো নতুন মাদক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আরও সহজ করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি আইনের ধারা যুক্ত হচ্ছে, যেখানে অধিদফতরকে যে কোনো মাদক নিষিদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। নতুন আইনটি পাস হলে আমরা খুব সহজেই মাদকের গডফাদার, রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে পারব। মাদকের ভয়াবহতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডিএনসি পরিচালক (অপারেশন্স ও গোয়েন্দা) এ এফ এম মাসুম রব্বানী বলেন, মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কক্সবাজারের টেকনাফে ২৭ সদস্যের একটি ইউনিট কাজ করছে। সিলেটেও বিশেষ ইউনিট মোতায়েন করা হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে নিয়মিত হানা দেওয়া হচ্ছে। তাদের শান্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না। মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স।

সর্বশেষ খবর