বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রচারে এগিয়ে আওয়ামী লীগ, মাঠে বিএনপিও

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

প্রচারে এগিয়ে আওয়ামী লীগ, মাঠে বিএনপিও

জেলার সব আসনের মধ্যে বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় কোন্দল সবচেয়ে বেশি। এ অবস্থায় উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা সরকারের উন্নয়ন কাজের প্রচারের পাশাপাশি নিজেকে তুলে ধরছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা বলছেন এবং এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন তারা। প্রচারণায় আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকলেও বিএনপিও জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বড় দুই দলের সঙ্গে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পার্টিও। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে শেরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জানে আলম খোকাকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক পুলিশ সুপার মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবর রহমান জয়ী হন। আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হতে মাঠে আছেন জানে আলম খোকা, সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ব্যারিস্টার আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য কে এম মাহবুবুর রহমান হারেজ, এস এম শফিউজ্জামান খোকন। বিএনপির মতো আওয়ামী লীগেও একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন মাঠে নেমেছেন। উন্নয়নের কথা বলছেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান। দুই মেয়াদে এমপি থাকাকালীন তিনি শেরপুর ও ধুনট উপজেলায় উন্নয়ন কাজ করেছেন। বেশ কিছু রাস্তা, বিদ্যুৎ, ব্রিজ, কালভার্ট মেরামত ও নির্মাণ করেছেন। একই সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজনুও শেরপুর-ধুনট এলাকায় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরছেন। ভোট প্রার্থনাসহ মাঠে-ময়দানে গণসংযোগ করে চলেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আরও রয়েছেন শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আবদুস সাত্তার, ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী তারিক। এ আসনে জাতীয় পার্টির তেমন কোনো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড না থাকলেও কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান আলী তালুকদার এবং সাবেক জেলা ও দায়রা জজ তাজ মোহাম্মাদ মনোনয়ন পেতে দলীয়ভাবে যোগাযোগ করছেন বলে উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন। সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান জানান, এলাকার মানুষের ভালোবাসা নিয়ে দুই মেয়াদে এমপির দায়িত্ব পালন করেছি। এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের সুখ দুঃখে পাশে আছি, থাকব। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে সাধারণ মানুষের সেবার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি। সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দিলে এলাকার উন্নয়নে আবারও নিজেকে শামিল রাখব।  বিএনপির সাবেক এমপি গোলাপ মোহাম্মদ সিরাজ জানান, এলাকার মানুষ তাকে আবারও নির্বাচনের মাঠে দেখতে চায়। মনোনয়ন পেতে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দিকে তাকিয়ে আছেন।

সর্বশেষ খবর