শনিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
কোটা নিয়ে দুই পক্ষ, বিশেষজ্ঞ মত

সময়োপযোগী এক সিদ্ধান্ত

—— সৈয়দ আবুল মকসুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সময়োপযোগী এক সিদ্ধান্ত

শিক্ষিত যুব সমাজ সরকারি চাকরি, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়েছিল। তা নিয়ে কিছুকাল উগ্র আন্দোলনও হলো। আন্দোলনকারীরা দমন-নিপীড়ন সহ্য করেছে। তারপর সরকার এ ব্যবস্থা বাতিল করেছে। শুধু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে কোটা থাকবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে মেধার ভিত্তিতে। এ সুপারিশ করেছেন উচ্চ পদস্থ অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা। তাদের এ সুপারিশ এবং সরকারের সিদ্ধান্ত আমার কাছে সময়োপযোগী বলে মনে হয়। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি আরও বলেন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে কিছু বিষয় বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে। দুর্গম, প্রত্যন্ত এলাকার জাতিগত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য একটা কোটা রাখতেই হবে। সেটা দয়াদাক্ষিণ্যের বিষয় নয়। সেটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমাদের সংবিধানে বলা হয়েছে, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় আনতে বিশেষ ব্যবস্থা করবে রাষ্ট্র। সে জন্যই আদিবাসী, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা রাখতেই হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা কোনো প্রাপ্তির আশায় যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েননি। দেশকে শত্রুমুক্ত করাই ছিল তাদের একমাত্র লক্ষ্য। সরকার মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। কোনো মুক্তিযোদ্ধার বংশধররা যেন বিপন্ন না থাকে সে ব্যাপারে সরকার সতর্ক। এই প্রাবন্ধিক আরও বলেন, প্রশাসনের উঁচু পদে মেধা ও যোগ্যতার কোনো বিকল্প নেই। কোটা ব্যবস্থা বাতিলের যে সুপারিশ করা হয়েছে তা জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়নি। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে যোগ্যতা আর মেধা দিয়ে থাকতে হবে। মেধার প্রতি অবিচার করলে জাতির যে ক্ষতি হবে তা পূরণ হবে না কোনো দিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর