শনিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে কৌশলী বিএনপি

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে কৌশলী বিএনপি

ঘিওর, শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়ন নিয়ে মানিকগঞ্জ-১ আসন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলেই রয়েছে একাধিক  মনোনয়নপ্রত্যাশী। আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও বিএনপি কৌশলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এ ছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছেন সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আনোয়ারুল হক, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম জাহিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুভাস চন্দ্র সরকার। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন— জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর, বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের দুই ছেলে জেলা বিএনপির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, সহসভাপতি খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু এবং যুগ্ম সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক। মহাজোট এবং জাতীয় ঐক্য হলে হিসাব-নিকাশ পাল্টে যাবে বলে জেলার নেতারা মনে করেন। একসময়ের বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল মানিকগঞ্জ। এ আসনে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির হাতছাড়া হয়ে যায় এ আসনটি। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবিএম আনোয়ারুল হকের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করেন। এরপর থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয় দলেই দলীয় কোন্দল রয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে নেমে নির্বাচনী কাজ চালালেও গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নামতে পারছেন না। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীরের বিরুদ্ধে সাতটি মামলাসহ সবার বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। তারা গ্রেফতার আতঙ্কে থেকেও বিভিন্ন কৌশলে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। হুলিয়া মাথায় নিয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হলে এ আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

সর্বশেষ খবর