রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সরব আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা পিছিয়ে নেই বিএনপি-জাপা

নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর

সরব আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা পিছিয়ে নেই বিএনপি-জাপা

চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সরব আওয়ামী লীগ। তবে পিছিয়ে নেই বিএনপিসহ অন্য দলগুলোও। নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ মেলাতে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন বড় রাজনৈতিক দল ও জোটের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে চলছে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা। তবে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা খোলামেলা প্রচারণা, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন টানাতে পারলেও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর পক্ষে কর্মী-সমর্থকরা জনসংযোগ দূরের কথা, কোনো ব্যানার, ফেস্টুনও টানাতে পারছে না।

১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রয়াত মিসবাহ উদ্দীন খান এমপি হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির অধ্যক্ষ আবুল হাসানাত। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির এহছানুল হক মিলন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বিজয়ী হন ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটওয়ারী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি হওয়ার পর অবহেলিত কচুয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমার বিশ্বাস আগামীতে তিনিই দলীয় মনোনয়ন পাবেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একটি অংশ জাতীয় রাজম্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের পক্ষে সক্রিয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান হাতেম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তৃণমূল ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোলাম হোসেনকে মনোনয়ন দেবেন বলে আশাবাদী। তবেই কচুয়ায় নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে। বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক এহছানুল হক মিলনের বিকল্প কচুয়ায় কেউ নেই। একটি সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে এহসানুল হক মিলন কোনো কারণে মনোনয়ন না পেলে তার স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল ছাত্রী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নাজমুন নাহার বেবী মনোনয়ন পেতে পারেন। অন্যদিকে মালয়েশিয়া শাখা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিক পোস্টার-লিফলেটের মাধ্যমে প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন। জাতীয় পার্টিতে সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের এবং উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এমদাদুল হক রুম্মন মনোনয়ন চেয়ে নিয়মিত গণসংযোগ করছেন। তারা দুই ভাগে নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর এমদাদুল হক রুম্মনের উদ্যোগে ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি, কচুয়া পৌর ও উপজেলা সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেছেন। কচুয়া উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে চাঁদপুর-১ আসন গঠিত। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ৪৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৯ হাজার ৮৬৪ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ৬২২ জন।

সর্বশেষ খবর