সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় রিভিউ করে আসামি সাইফুল ইসলামের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে তার মৃত্যুদণ্ডই বহাল থাকল বলে জানান আইনজীবী। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রিভিউ খারিজ করে এ আদেশ দেয়। আদালতে আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আখতার হামিদ। এখন সাইফুলের সামনে শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার পথই খোলা থাকল। সংবিধান অনুযায়ী, দণ্ডিত এই আসামি এখন কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। সেই আবেদনও খারিজ হলে সাইফুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা থাকবে না। ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। রায়ে আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড এবং আল আমিন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলাম খোকনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মামুন রিভিউ আবেদন করেন। খালাফ হত্যা মামলায় ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিচার শেষে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর রায় দেয় হাই কোর্ট। হাই কোর্ট সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আল আমিন, রফিকুল ইসলাম খোকন ও আকবর আলী লালুর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। তবে পলাতক আসামি সেলিম চৌধুরীকে খালাস দেয়। ২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকার ১২০ নম্বর রোডের ১৯/বি নম্বর বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
