মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
সড়ক আইন বাতিল চেয়ে ধর্মঘট অব্যাহত

যানজট সীমাহীন ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

যানজট সীমাহীন ভোগান্তি

সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে গতকালও পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নামেন। বিভিন্ন গাড়ি আটকানোর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

সদ্য পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন বাতিল ও মহাসড়কে পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ৭ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিকরা। ধর্মঘট চলা অবস্থায় রাজধানী ও আশপাশে পণ্য পরিবহনে বাধা দেওয়া হয়। কোথাও কোথাও রাস্তা দখল করে ট্রাক রাখায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। তবে সড়কে বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ না করে উল্টো ৭ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধকে অযৌক্তিক বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। গতকাল সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট শুরু করে আন্দোলনকারীরা। রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকায় মূল সড়কে গাড়ি রেখে ধর্মঘট করায় আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে মোহাম্মদপুরের বছিলায় সড়ক অবরোধ করে রাখায় কেরানীগঞ্জ, গাবতলী থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বাবুবাজার ও সদরঘাট বাদামতলী যেতে পারেনি। কিছু কিছু কাভার্ডভ্যান বছিলা ব্রিজ হয়ে বেড়িবাঁধ এলে তা ফেরত পাঠায় শ্রমিকরা। এই ধর্মঘটের কারণে কারওয়ান বাজারে পণ্য সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই বলে দাবি করেছে বিক্রেতারা। 

পরিবহন শ্রমিকরা জানায়, আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ওই আইন সংশোধন করা না হলে পরিবহন ধর্মঘটসহ আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে। বর্তমানে ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলায় সব ধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর সংশোধন, ৩০২ ধারায় মামলা গ্রহণ না করা, ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিলসহ ৭ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পণ্য পরিবহন শ্রমিকরা। এর আগে শনিবার তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা এই ধর্মঘটের ঘোষণা  দেন। ঘোষণার পর রবিবার সকাল থেকেই এই ধর্মঘট শুরু হয়। তেজগাঁও ট্রাক-কাভার্ডভ্যান স্ট্যান্ডের শরিফ নামে এক শ্রমিক বলেন, আমাদের ওপর যে আইন করা হয়েছে, তাতে রাস্তায় গাড়ি চালানো সম্ভব না। আমরা জেলেও যেতে পারব না, জরিমানাও দিতে পারব না। রাস্তায় গাড়ি চললে পারাপারি হবে, ওভারটেকিং হবেই। সোহেল নামে আরেক শ্রমিক পুলিশের হয়রানি প্রসঙ্গে বলেন, রাস্তায় গাড়ি চালালে পুলিশ জিজ্ঞাসা করে গাড়িটি কোন জেলার, সেই অনুযায়ী টাকা নেয় কিংবা মামলা দেয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর