সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুর্গাপূজায় কঠোর নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তার হুমকি নেই। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে দুর্গাপূজায় পটকা, আতশবাজি ও মাদকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উৎসব নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক করতে আমরা সতর্ক রয়েছি।’ গতকাল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের, উৎসব সবার। এ জন্য পূজামণ্ডপে ছুরি, কাঁচি, পোঁটলা, ব্যাগ, ব্যাগপ্যাক নিয়ে আসবেন না। শোভাযাত্রার রুটে অবাঞ্ছিত লোক, হকারদের বসতে দেওয়া হবে না। চলাচলের ক্ষেত্রে সড়কে ডাইভারশন দেওয়া হবে। আজান ও নামাজের সময় বাদ্য-বাজনা বন্ধ থাকবে। এবার দুর্গাপূজার বিসর্জনের দিন শুক্রবার হওয়ায় ওই দিন বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বাদ্য-বাজনা বন্ধ থাকবে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৩৪টি সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে নয়টি সবচেয়ে বড় মন্দির। এগুলো হচ্ছে ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মন্দির, কলাবাগান মন্দির, বনানী মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালিমন্দির, রমনা কালিমন্দির, উত্তরা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট সমাজকল্যাণ সংঘ ও বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ। সব পূজামন্দির ঘিরে কয়েক স্তরের সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে প্রতিটি মন্দির সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মনিটর করা হবে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। স্বেচ্ছাসেবকরা আর্মড ব্যাজ পরে আলাদা পোশাকে থাকবেন। প্রত্যেক দর্শনার্থী ও ভক্তকে নিরাপত্তাবলয়, তল্লাশি ও মেটাল ডিটেক্টরের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। পূজা উৎসব ঘিরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সার্বক্ষণিক পুলিশ কর্মকর্তারা পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবেন। ডিএমপিপ্রধান বলেন, ঢাকার প্রতিটি বড় মন্দির স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ডিএমপি ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। কোনো ধরনের ছিনতাই ও ইভ টিজিংয়ের ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য গোয়েন্দা পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। পূজামণ্ডপ এলাকায় হকার বসতে ও ঢুকতে দেওয়া হবে না। দশমীর দিন শোভাযাত্রা হবে। শোভাযাত্রার রুট ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বেরিয়ে পলাশীর মোড়, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, গোলাপ শাহ মাজার হয়ে, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার হয়ে, সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে, নবাবপুর সড়ক দিয়ে রায়সাহেব বাজার মোড়, বাহাদুর শাহ পার্ক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, পাটুয়াটুলী হয়ে ওয়াইজঘাটে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে বিসর্জন হবে। তিনি বলেন, ‘শোভাযাত্রা ও বিসর্জন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শোভাযাত্রার সামনে পেছনে ও মাঝে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আমরা পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করেছি। বিসর্জনের সময় নদীতে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা মোতায়েন থাকবেন। ফায়ার সার্ভিসের সার্চলাইটের মাধ্যমে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।’

সর্বশেষ খবর