বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

ডায়াবেটিস প্রতিরোধক কালো ধান চাষ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

ডায়াবেটিস প্রতিরোধক কালো ধান চাষ

কুমিল্লায় এবার কালো ধান থেকে বীজ উৎপাদন করেছেন মনজুর হোসেন নামের এক কৃষক। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার মনাগ্রাম মাঠে এই ধানের চাষ করা হয়েছে। এই চালের ভাত ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়া উদ্ভাবনী কৃষক মনজুর হোসেন বলেন, কৃষি গবেষক ড. আখতার হামিদ খান ধান উৎপাদনে কুমিল্লার চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। তার কাজ দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তিনি পাম গাছ, বিভিন্ন প্রজাতির ফল আর ধান চাষ করে থাকেন। তিনি বলেন, জাপানের কালো ধান সংগ্রহ করেন। যা প্রতি কেজি এক হাজার টাকা। সেখান থেকে বীজ উৎপাদন করেছেন। কালো চাল ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক। এতে ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল রয়েছে। অনেকে বিদেশ থেকে উচ্চ দামে চাল কিনে খান। এ ছাড়া ভারতের আসাম, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া কালো চালের ধান সংগ্রহ করে চাষ করছে। কালো চাল উৎপাদন ভালো হলে কৃষিতে নতুন গতি আসবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি উৎপাদন বাড়িয়ে কম দামে মানুষের মাঝে কালো চাল বিতরণ করতে চান বলেও জানান। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ফল প্রকল্পের পরিচালক ও ধান গবেষণায় বিশেষজ্ঞ ড. মেহেদী মাসুদ বলেন, কৃষক মনজুর যা করেছেন তা ব্যতিক্রম। তিনি বিজ্ঞানীদের কাজ করেছেন। কিছু চালের ভ্রূণ নষ্ট না হওয়ায় তিনি তা থেকে বীজ উৎপাদন করতে পেরেছেন। এ ছাড়া কালো চাল অনেক উপকারী। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) অনেক কম। জিআই যত কম হয় সেই খাবার শরীরের জন্য তত উপকারী। গ্লুকোজ জিআই ১০০ ভাগ, চিনি ৮০ ভাগ, সাদা চালের ভাত ৭২ ভাগ, গমের আটার রুটিতে ৬৫ ভাগ আর কালো চালের জিআই মাত্র ৪২ ভাগ। কালো চালের বিষয়টি দেশে গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী এই চাল উৎপাদনে তাগিদ দিয়েছেন। কালো চাল ভালো উৎপাদন হলে রোগ প্রতিরোধের সঙ্গে তা কৃষি অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

সর্বশেষ খবর