অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ১৭ বিজ্ঞানী গবাদিপশুর খুরা রোগের নতুন ট্রাইভ্যালেন্ট টিকা উদ্ভাবন করেছেন। নতুন উদ্ভাবিত এ টিকা প্রাণীর প্রটেকটিভ লেভেলের চেয়ে বেশি অ্যান্টিবডি ও ভাইরাস আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম। রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের গবাদিপশুর খুরা রোগ প্রতিরোধে উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খুরা রোগের কারণে বাংলাদেশে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২৫ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু অর্থ ব্যয় করার পরও টিকার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিজেন ব্যবহার না করার ফলে তা অকার্যকর হয়। এ ছাড়া টিকার বিশাল ঘাটতি রয়েছে। ভাইরাস নিউট্রালাইজেশনের পরীক্ষা করে দেখা গেছে, নতুন উদ্ভাবিত টিকা দেশের খুরা রোগের ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্য প্রাণিসম্পদ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হলেও কিছু সংক্রামক রোগের কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে উদ্ভাবিত খুরা রোগের নতুন ট্রাইভ্যালেন্ট দেশের প্রাণিসম্পদে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
এ টিকার দামও মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা হয়েছে। পশুকে প্রতিটি টিকা দিতে গুনতে হবে মাত্র ৬০ টাকা। টিকা উদ্ভাবন টিমের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশে আমদানিকৃত খুরা রোগের ভ্যাকসিনের অধিকাংশই কাজ করছিল না। আবার খুরা রোগের উপস্থিতিও বেশি। এ জন্য আমরা গবেষণায় হাত দিই। আমাদের গবেষণা প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ও সরকারের সহযোগিতায় এবং হেকেপের তত্ত্বাবধানে ১০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দেশের খুরা রোগের নমুনা সংগ্রহ করে জানতে পারি, দেশে তিন ধরনের খুরা রোগের উপস্থিতি আছে। পরে গবেষণায় আমাদের রেজাল্ট আসে।’
