বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সাঁইজির বারামখানায় বাউলদের আরাধনা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

সাঁইজির বারামখানায় বাউলদের আরাধনা

সাধুর হাটে সাধুর আরাধনা। লালনের মর্মবাণী উপলব্ধি করে এখানে চলে খাঁটি মানুষ হওয়ার চেষ্টা। কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়ায় সাঁইজির প্রয়াণ দিবসের অনুষ্ঠানে তাই সাধু বাউলরা নিজেকে খোঁজার এক প্রাণান্তকর চেষ্টায় শামিল হয়েছেন। বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১২৮তম তিরোধান দিবসের দ্বিতীয় দিনে গতকাল দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত ছিল সাঁইজির বারামখানা। আজ হতে ১২৭ বছর আগে দেহত্যাগ করেছিলেন বাউল সাধক ফকির লালন সাঁই। সেই থেকে ফকির লালনের অনুসারী কিংবা ভক্তরা সাঁইজিকে জানতে ছুটে আসেন তাঁরই ধামে। খাঁটি মানুষ হওয়ার বাসনায় এক সাধু আরেক সাধুতে হারিয়ে যান ভাবের জগতে। ‘সত্য বল সুপথে চল’ ‘মানুষ ভোজলে সোনার মানুষ হবি’-এমন বাণীকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন গানে গানে। বাউল সাধু বৈষ্ণব বছরে দুটি উৎসবে শামিল হন সাঁইজির আখড়াবাড়িতে। একটি দোল পূর্ণিমায়, আর অপরটি তিরোধান দিবসে। তবে তিরোধান দিবস যেন আবেগ ছুঁয়ে যায় বাউল সাধুদের মনে। আর তাই এই দিনটি এলেই দেশ বিদেশের সব প্রান্ত থেকে সব শ্রেণির মানুষ ছুটে আসেন সাঁইজির ধামে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তিন দিনের তিরোধান দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। আলোচনা সভা শেষে রাত ৯টায় শুরু হয় সংগীতানুষ্ঠান। লালন শিল্পীদের দলীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া গানের অনুষ্ঠান চলে গভীর রাত পর্যন্ত। গতকাল বিকালে দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুর রউফ, পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, বিশিষ্ট লেখক কলামিস্ট ও গবেষক শেখ গিয়াস উদ্দীন আহমেদ মিন্টু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুর রশীদ চৌধুরী। আলোচক হিসেবে ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী।

সর্বশেষ খবর