শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ ফুরফুরে, চ্যালেঞ্জে বিএনপি

জমে উঠছে বরিশাল-১ আসনের ভোটযুদ্ধ

রাহাত খান, বরিশাল

আওয়ামী লীগ ফুরফুরে, চ্যালেঞ্জে বিএনপি

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, পার্বত্য শান্তিচুক্তি নিরীক্ষণ-পর্যবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বরিশাল-১ আসনে (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। এ আসনে তিনবারের এমপি তিনি। তার নেতৃত্বে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী স্থানীয় আওয়ামী লীগ। দলীয় ঐক্য ছাড়াও গত টানা ১০ বছর ওই দুই উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগে একক প্রার্থী নিশ্চিত হলেও এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে লড়ছেন চারজন সম্ভাব্য প্রার্থী। চার নেতার মনোনয়ন লড়াইয়ে বিভক্ত স্থানীয় বিএনপি। যদিও বিএনপি নেতাদের দাবি, বড় দলে প্রতিযোগিতা থাকবেই। কিন্তু ধানের শীষের প্রশ্নে সবাই একাট্টা। মনোনয়ন যাকেই দেওয়া হোক না কেন দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে সবাই। জেলার প্রবেশদ্বার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া নিয়ে গঠিত বরিশাল-১ আসনের আয়তন ৩০৬.০১ বর্গকিলোমিটার। ১৯৯১, ’৯৬ ও সবশেষ ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এ আসনে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১৫ আগস্টের শহীদ সাবেক মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ছেলে বঙ্গবন্ধুর ভাগনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুছ এমপি বলেন, ‘আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে সারা বরিশাল সাংগঠনিকভাবে মজবুত ও ঐক্যবদ্ধ। বরিশাল-১ আসনে তিনি একক প্রার্থী। বর্তমান সরকার আমলে ওই এলাকার প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে তার একান্ত প্রচেষ্টায়।’ গত ১০ বছরে বলতে গেলে গৌরনদী-আগৈলঝাড়ায় দাঁড়াতেই পারেনি বিএনপি। তেমন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারেনি। পাশাপাশি বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে দলীয় কোন্দল। সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন পুরোদমে দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি এ আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানা গেছে। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা (উত্তর) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ন কুদ্দুসুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবাহান ও নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য গাজী কামরুল ইসলাম সজল। জানতে চাইলে জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘আমি দলের একজন কর্মী। এ বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের জন্য আমি অপেক্ষা করছি।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য আমাদের রাজনীতি। আওয়ামী লীগের সব অন্যায়-অত্যাচারের জবাব আগামী নির্বাচনে দেবে জনগণ।’ বিরোধী মতের রাজনীতিতে বাধাদান, হামলা-মামলার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুছ এমপি বলেন, ‘এ অভিযোগ শুধু বরিশাল-১ আসনে নয়, বিএনপি এ অভিযোগ জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। উনাদের রাজনীতিতে কেউ বাধা দেয় না। উনারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে মাঠে নামেন না।’ এখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমানে সমান হলেও অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের দাপট নেই। একসময়ের দাপুটে জাতীয় পার্টি বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে। ফলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যেই ভোটের লড়াই হবে বলে আশা ভোটারদের।

সর্বশেষ খবর