শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

অশুভ দমনের প্রত্যয় নবমীতে

আজ দশমী, বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের বার্তা নিয়ে মর্ত্যে আসেন দেবীদুর্গা। অশুভ বিনাশের প্রত্যয়ে মহানবমী তিথিতে দুর্গতিনাশিনী দেবীর আরাধনা করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। গতকাল সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ভক্তরা দেবীর চরণে অর্পণ করছেন পুষ্পাঞ্জলি। কেন্দ্রীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীতে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে দেবীদুর্গার মহানবমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা শুরু হয়। পূজা শেষে অঞ্জলি দিয়েছেন উপবাসরত ভক্তরা। এ ছাড়া রমনা কালীমন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রমে বাদ্যের সঙ্গে চলে দেবীর আরতি। গুলশান-বনানী সার্বজনীন মন্দিরে পূজা শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয় ভক্তদের মাঝে। নবমী পূজার মধ্য দিয়ে ভেসে আসছে দেবীর বিদায়ের ধ্বনি। আজ দশমী পূজায় দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দশমী পূজা শেষে বিকাল ৩টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বের হবে মূল শোভাযাত্রা। পরে নগরীর ওয়াইজঘাট, তুরাগ, ডেমরা, পোস্তগোলা ঘাটে হবে প্রতিমা বিসর্জন। গত মঙ্গলবার সকালে নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনের পর শুরু হয়েছিল মহাসপ্তমী পূজা, যা দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। বুধবার কুমারী পূজার পর হয় মহাঅষ্টমী এবং সন্ধিপূজা। গতকাল বিহিত পূজার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে মহানবমী পূজা। দশমী পূজায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন দেবীদুর্গা। এ বছর দেবীর আগমন ঘটেছে ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়ায় এবং তিনি ফিরে যাবেন দোলায়। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের হিসাবে, এ বছর সারা দেশে ৩১ হাজার ২৭২টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় ১ হাজার ১৯৫টি বেশি। এর মধ্যে রাজধানীতে রয়েছে ২৩৪টি মণ্ডপ।

সর্বশেষ খবর