রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

বান্দরবানে ড্রাগন ফলের চাষ

কবির হোসেন সিদ্দিকী, বান্দরবান

বান্দরবানে ড্রাগন ফলের চাষ

বিদেশি ফল ড্রাগন এখন বান্দরবানের পাহাড়ে জন্মাচ্ছে। বর্তমানে বান্দরবানে পাঁচটি এলাকায় ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে উঠেছে। উৎপাদনও ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছে চাষিরা। ফলে অন্য চাষিরাও বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষের দিকে ঝুঁকছে। ইতিমধ্যে আরও কয়েকটি এলাকায় ড্রাগন ফলের চারা সৃজনের কাজ চলছে। স্বল্প খরচে দ্রুত ফল উৎপাদিত হওয়ায় ড্রাগন চাষের প্রতি ঝুঁকছে চাষিরা। গাছ লাগানোর মাত্র এক বছরের মধ্যেই ফল পাওয়া যাচ্ছে। পাহাড়ের ঢালের পাশাপাশি সমতল জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে।  কম খরচে দ্রুত লাভজনক হওয়ায় বান্দরবানে ড্রাগন চাষ চাষিদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০-৫০০ টাকা। ইতিমধ্যে চিম্বুক পাহাড়ের  বসন্তপাড়া, কুহালং, ডলুপাড়া, ভাগ্যকূল, জেলা পরিষদ এলাকায় ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে উঠেছে। ২০১৩ সালে পরীক্ষামূলকভাবে বান্দরবানের বালাঘাটা সরকারি হর্টিকালচার সেন্টারে চার শতক জমিতে বিদেশি ফল ড্রাগনের চাষ শুরু করা হয়। বর্তমানে দুই শতাধিক গাছ রয়েছে। এখানে লাল, সাদা, গোলাপী, পিং এবং হলুদ পাঁচটি রঙের ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। বাগানে ১২টি পিলারে ৪৮টি গাছে ড্রাগনের ফল ধরেছে। তবে সাদা ও লাল জাতের ফল বেশি উৎপাদিত হচ্ছে। চিম্বুক পাহাড়ের এক জুম চাষি তোয়ো ম্রো জানান, ২০১৬ সালে ৭৫টি পিলারে ৩০০ ড্রাগন চারা লাগিয়ে চাষ শুরু করি। তার বাগানে বছরে সাতবার ড্রাগন ফল উৎপাদন হচ্ছে। গত বছর ড্রাগন ফল বিক্রি করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা লাভ করেছে তোয়ো ম্রো। চলতি বছর নতুন করে ৪৬০টি কুটি এবং ৫০টি পিলারে ১৮৬০টি ড্রাগন চারা লাগিয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ির ড্রাগন চাষি ইউছুপ আজাদ মুন্না জানান, শখের বসে প্রথমে ড্রাগন চাষ শুরু করেছিলাম। হর্টিকালচারের সার্বিক সহযোগিতার কারণে আজ আমি একজন সফল ড্রাগন চাষি। আগামীতে এর চাষ আরও বাড়ানো হবে।

বান্দরবান হর্টিকালচার সেন্টারের পরিচালক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, বান্দরবানে হর্টিকালচার সেন্টার থেকে ড্রাগন ফলের চারা গাছ ২৫-৩০ টাকায় সংগ্রহ করে এখন অনেকেই শখের বসে বাড়ির আঙ্গিনায় এবং ট্যুরিস্ট রিসোর্টে চাষ করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর