সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দলীয় প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগ সক্রিয় জাপা, মাঠে নেই বিএনপি

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ

দলীয় প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগ সক্রিয় জাপা, মাঠে নেই বিএনপি

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও এখানে গত দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তবে এবার জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ। দলটি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর দাবিতে মাঠে নেমেছে। জাতীয় পার্টিও থেমে নেই। পুরো এলাকা চষে বেড়াচ্ছে। তবে নির্বাচনী মাঠে কোনো তৎপরতা নেই বিএনপির।

জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এ আসনের সংসদ সদস্য। গত দুই মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। তৃণমূলে তার যথেষ্ট প্রভাব ও যোগাযোগ রয়েছে। মহাজোটের শরিক দল হিসেবে আবারও জাতীয় পার্টি থেকে তিনিই প্রার্থী হবেন বলে দলের নেতা-কর্মীরা মনে করেন। এ আসন থেকে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বুয়েটের সাবেক শিক্ষক ড. মিজানুল হক। সে সময় তিনি এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেন, যা এখনো মানুষের মুখে মুখে ফিরে। ২০০১ সালের নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হন। পরে এ আসনটি মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এখনো সক্রিয়। এ আসনে আওয়ামী লীগের আরেক প্রভাবশালী প্রার্থী করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ। নবম সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলেও জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতার কারণে তিনি বাদ পড়েন। এবারও তিনি একজন শক্তিশালী প্রার্থী। এ ছাড়া এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিভাগের সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ কবীর আহমেদ, জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. মাহবুব ইকবাল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এমরান আলী ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী এরশাদ উদ্দিন, সাবেক শিক্ষক নেতা আসাদুল হক, লন্ডন প্রবাসী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ড. আনিছুর রহমান আনিছ, মেজর (অব.) মুছলেহ উদ্দিন আহমেদ বাবুল প্রমুখ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শক্তিশালী প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগের পর থেকে এলাকায় আসেন না। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মিজানুল হককে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জয়লাভ করেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় সংস্কারপন্থি হওয়ায় ২০০৯ সালের নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে তৎকালীন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম মোল্লাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুজিবুল হক চুন্নুর কাছে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হন। এবারও তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জালাল মো. গাউস বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। কমিউনিস্ট পার্টি থেকে জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ডা. এনামুল হক ইদ্রিস নির্বাচনী তৎপরতা চালাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর