শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কক্সবাজার-চেন্নাই সাগরপথে জাহাজ চলাচল করবে

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

কলকাতা-ঢাকা নদীপথের পর গতকাল দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ জাহাজ মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ে বৈঠকে কক্সবাজার থেকে চেন্নাই পর্যন্ত সমুদ্রপথে জাহাজে সফর নিয়ে প্রটোকল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তিনটি। আরও পাঁচটি নয়া নদী রুট খোলার জন্য প্রশ্নে ঐকমত্য হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ জাহাজ মন্ত্রণালয় দুই দিন ধরে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার দিল্লিতে মেরিডিয়ান হোটেলে বাংলাদেশের জাহাজ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ এবং ভারতের সচিব গোপাল কৃষ্ণান চুক্তিগুলো সই করেন। এরপর তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। আবদুস সামাদ আশা প্রকাশ করেন আগামী বছরের মার্চ মাসে কলকাতা-ঢাকা নদীপথে এবং কক্সবাজার-চেন্নাই সমুদ্রপথে সফরের সূচনা হতে পারে। তবে এগুলো হবে বিলাসবহুল জাহাজে সফর। যেমন ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে। ইতিমধ্যে বেসরকারি সংস্থা জাহাজ চালানো নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ভারত থেকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মাধ্যমে পণ্য চলাচল করবে। পরে এসওপি যখন স্থির হবে তখন ট্রানজিট ফি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সামাদ জানান, ভারত যে নদীগুলো ড্রেজিং করবে তার আশি শতাংশ খরচ ভারত বহন করবে। আসামের ধুবড়ি ও বাংলাদেশের পানগাঁওয়ে নতুন পোর্ট অব কল করার জন্য পুরনো প্রটোকল সংশোধন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভুটানের গেলেফুর মাধ্যমে ত্রিদেশীয় বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের নাকুগাঁও ও ভারতের ডালু চালু করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া তামিলনাড়ুর টিউটিকোরিন বন্দর ও কামরাজজার  বন্দরের মাধ্যমে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় রপ্তানি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে দুই দেশের যৌথ জাহাজ মন্ত্রণালয়ের কমিটি বৈঠক করবে। আবদুস সামাদ বলেন, এই বৈঠক দুই বছর আগে হওয়ার কথা ছিল। বৈঠক দুই দেশের আর্থিক উন্নয়নের পক্ষে খুবই জরুরি। এতে সামুদ্রিক ও নদীপথে সংযোগ বাড়বে। ফলত বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। চিলবাড়ি থেকে কলকাতা পর্যন্ত নদীর নাব্যতা বাড়ানোর জন্য ড্রেজিং প্রয়োজন। তার মতে পশ্চিমবঙ্গের ধূলিয়ান থেকে রাজশাহী পর্যন্ত আগে নদীপথে যাতায়াত ছিল। কিন্তু নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় সেই পথ বন্ধ। তাই ড্রেজিং করে ফের চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর