শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা ভাঙচুর লুটপাটের অভিযোগ

সাভার প্রতিনিধি

মোহাম্মদ আলী ও নাসির উদ্দিন নামে দুই ব্যক্তির লোকেরা গতকাল আশুলিয়ার বাইশমাইলে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। কেন্দ্রের কর্মীরা বাধা দিলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। মোহাম্মদ আলীর বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায়। নাসির উদ্দিন আশুলিয়া আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। তারা দুজনই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের      প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘জমি দখলের চেষ্টা, চুরি, ভাঙচুর ও চাঁদা দাবি’র অভিযোগে করা পৃথক পৃথক মামলার বাদী। স্থানীয়রা জানান, ‘নাসির বাহিনী’ বৃহস্পতিবার রাতে পিএইচএ ভবনের মিলনায়তনের ভিতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় তারা কম্পিউটার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনা আশুলিয়া থানাকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনাস্থলও দেখতে আসেনি। এদিকে শুক্রবার দুপুরের দিকে গণস্বাস্থ্যের ফার্মাসিউটিক্যালসের সামনে মোহাম্মদ আলীর লোকজনের সঙ্গে কেন্দ্রের কর্মীদের মধ্যে পরস্পর ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এর কিছু সময় পরই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নাসির বাহিনীর প্রায় ২০০ লোকজন নিয়ে গণস্বাস্থ্যের পিএইচএ ভবনের ভিতরে হামলা চালায়। এ সময় নাসিরের লোকজন ওই ভবনের অডিটরিয়ামের ভিতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও হামলা চালায়। এ সময় তারা ওই ভবনের ভিতর থেকে কম্পিউটার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অভিযোগ আমলে না নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর