রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ময়মনসিংহে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নিহত দুই

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। ঘটনার সময় চার পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল হোসেন আকন্দ জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম মুক্তাগাছা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযানে গেলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। এতে এসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই মজিদ আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শটগানের ফাকা গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসী আবদুল্লাহ হেল কাফিকে (৩১) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার কাছ থেকে একটি কাঠের বাঁটযুক্ত এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাফিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কাফি ফুলবাড়িয়া উপজেলার আন্দালিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে তিনটির অধিক সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। অন্যদিকে ডিবির আরেকটি টিম গতকাল রাত দেড়টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসির (তদন্ত) নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের সদর উপজেলার সাহেব কাচারি বাজারের কাছে পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি বর্ষণ এবং ঢিল ছুড়তে থাকে। এতে পুলিশ কনস্টেবল সাইদুল ইসলাম ও আরমান উদ্দিন আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শটগানের ফাঁকা গুলি করে। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে মাদক ব্যবসায়ী আলমগীরকে (২৭) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার হেফাজত থেকে ২ কেজি গাঁজা এবং গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে আহত হওয়া মাদক ব্যবসায়ীকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আলমগীর শহরের কালিবাড়ী পুরাতন গোদারাঘাট এলাকার ইব্রাহিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধেও তিনটির অধিক মাদকের মামলা আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর