মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

পেঁপে চাষে চমক

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

পেঁপে চাষে চমক

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পেঁপে চাষ করে এলাকায় চমক লাগিয়ে দিয়েছেন উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের শাসন ইলামপাড়া গ্রামের কৃষক আসাদুর রহমান। চলতি বছর তিনি রেডলেডি জাতের পেঁপে চাষ করেছেন। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে বিক্রিও হয়ে গেছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার পেঁপে। তার বাগানের পেঁপের ফলন দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন  এলাকার অন্য কৃষকরাও। সরেজমিন বাগানে গিয়ে দেখা যায়, তিন থেকে চার ফুট উঁচু সারি সারি প্রতিটি পেঁপে গাছে ২০-২৫টি করে পেঁপে ঝুলে আছে। একেকটি পেঁপের ওজন হবে দুই থেকে আড়াই কেজি। কৃষক আসাদুর রহমান জানান, এ বছর দশ কেয়ার জমিতে প্রায় দুই হাজার পেঁপের চোরা রোপণ করেছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে চারা রোপণ করেছিলেন। এপ্রিলে গাছে ফুল ও ফল এসেছে। আর জুন মাস থেকে বাজারে পেঁপে বিক্রি শুরু করেন। চলতি মাস পর্যন্ত প্রতি কেজি বিশ টাকা দরে প্রায় বিশ হাজার কেজি পেঁপে বিক্রি করেছেন। একটানা আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তিনি গাছ থেকে পেঁপে সংগ্রহ করতে পারবেন। আর এক বছরে তার খরচ বাদ দিলে লাভ হবে আট লাখ টাকা বলে তিনি জানান। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আবার ওই গাছের মাথা কেটে দেওয়া হবে। গাছের কাটা অংশ থেকে নতুন করে কুঁড়ি বের হয়ে এপ্রিল থেকে আবার ওই গাছে ফুল ও ফল আসতে শুরু করবে।

পরের বছর শুধু কীটনাশক ওষুধ ও বাগান পরিচর্যা ছাড়া আর কোনো বাড়তি ব্যয় নেই। তাই পরের বছর তার লাভ হবে ৫ লাখ টাকার মতো। আর যদি পেঁপে গাছে পাকিয়ে বিক্রি করতে পারেন তাহলে লাভ আরও অনেক বেশি হবে বলে তিনি জানান। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অজিত কুমার পাল বলেন, এ অঞ্চলের মাটি পেঁপে চাষের উপযোগী। কৃষক আসাদুরকে পেঁপে চাষে উৎসাহিত করা হয়েছিল। এতে তিনি লাভবান হয়েছেন। আগামীতে অন্য কৃষকরাও পেঁপে চাষে এগিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, পেঁপে হচ্ছে একটি লাভজনক ফসল। শ্রীমঙ্গলের উঁচু মাটিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে যদি পেঁপে চাষ করা যায় তাহলে কৃষক লাভবান হবে। আর এই পেঁপে যদি গাছে পাকিয়ে বিক্রি করা যায় তাহলে লাভের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর