বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সুশাসন ও প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন

—ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

সুশাসন ও প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন

একটি দেশের নির্বাচনের আগে দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে সুশাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আইনের শাসন, প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ, বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়ন, উচ্চতর প্রবৃদ্ধি, সমতাভিত্তিক অংশীদারির উন্নয়ন— এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু ঢাকায় বা বিভাগীয় শহরকেন্দ্রিক উন্নয়ন না করে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। গ্রাম ও মফস্বল শহরে কর্মসংস্থানের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এসব বিষয়কে নির্বাচনী ইশতেহারে স্থান  দিতে হবে। এ ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে চলবে, যেমন শেয়ারবাজার, বাংলাদেশ ব্যাংক, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন— এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সুর্নিদিষ্ট ঘোষণা থাকতে হবে নির্বাচনী অঙ্গীকারে। গত ১০ বছরে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। কিন্তু সে হারে কর্মসংস্থান হয়নি। এ বিষয়টাকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। আয়বৈষম্য প্রচণ্ডভাবে বেড়েছে। এটা একশ্রেণির মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নিচে নিয়ে গেছে। এটাকে সামনে আনতে হবে। বৈষম্যহীন সমতার সমাজ গঠনের অঙ্গীকারের পাশাপাশি উচ্চতর প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের ঘোষণার বিষয়গুলো ইশতেহারে আসতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর। তিনি বলেন, আরেকটা বিষয়কে সামনে আনতে হবে, সেটি হলো বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন। গত ১০ বছরে অনেক বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। কতগুলোর কাজ এখনো চলছে। কিন্তু এসব প্রকল্পের ব্যয় অত্যন্ত বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি প্রকল্পব্যয় বাংলাদেশে। এটি কীভাবে সহনীয় রাখা যায় সে বিষয়েও নির্বাচনী অঙ্গীকারে গুরুত্ব দিতে হবে। সর্বোপরি টেকসই উন্নয়ন ও সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নের অঙ্গীকার থাকতে হবে নির্বাচনী ইশতেহারে।

সর্বশেষ খবর