শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রতিবন্ধকতা দূর করার ঘোষণা চাই

—আবদুল আউয়াল মিন্টু

প্রতিবন্ধকতা দূর করার ঘোষণা চাই

বিনিয়োগ বাড়ানো ও বেকারত্ব ঘুচিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরকরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা দেখতে চান এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু। তার মতে, ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু। দেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর স্বার্থে বর্তমানে যে প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে চিহ্নিত করার ঘোষণা থাকতে হবে। মাল্টিমুড গ্রুপের এই চেয়ারম্যান বলেন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে দেশের বন্দরগুলোর উন্নয়ন করতে হবে। ব্যবসাবান্ধব বন্দর ব্যবস্থাপনা ও কাস্টমস সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। করের বোঝা কমিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার রাজনৈতিক অঙ্গীকার ইশতেহারে দেখতে চাই। পাশাপাশি প্রতি বছর সরকার যে বাজেট দেয়, তা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন হয় না। বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা তৈরিতে করণীয়সমূহ এবং অর্থ খরচের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের অঙ্গীকারনামা রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে থাকা উচিত।

এফবিসিসিআইর সাবেক এই সভাপতি মনে করেন, বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রায় বন্ধ। ফলে, কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় এবং বেকারত্বের কারণে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এখন বেকার যুবকরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। এই সংকট উত্তরণে সব রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে সজাগ দৃষ্টি প্রয়োজন। তার মতে, রাজনৈতিক, সামাজিক ও আইনের শাসনের অভাব দূর করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সর্বত্র সুশাসন। আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, শুধু নির্বাচনী ইশতেহারেই নয়, নির্বাচন পরবর্তী করণীয় হিসেবে ব্যবসা-সহায়ক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষার মান। এর সঙ্গে বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে এবং কার্যকর ভূমিকা রাখার সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন— দুদক যেন চাইলেই কাউকে ১০ ঘণ্টা বসিয়ে না রাখতে পারে। সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়গুলো রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে রাখতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর