বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সৎভাবে ব্যবসার নির্দেশনা চাই

—কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ

সৎভাবে ব্যবসার নির্দেশনা চাই

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে দেশের আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নিশ্চয়তা চেয়েছেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ব্যবসার উন্নয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন চাই। সুদহার কমিয়ে আনার নিশ্চয়তাও থাকতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে সত্ভাবে ব্যবসা করার দিকনির্দেশনাও চাই। নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার এই উপদেষ্টা মনে করেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন। অর্থনৈতিক উন্নয়নই দেশের বড় উন্নয়ন। সেই ধারাবাহিকতায় বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। আশা করছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নিয়ে সেই উন্নয়ন আরও বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে সব ভোটার, রাজনীতিবিদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। বেসরকারি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এই চেয়ারম্যান বলেন, ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে বাংলাদেশ এখন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানেরও নিচে পড়ে আছে। এটা আমার খারাপ লাগে। ব্যবসায়ী সমাজেরও খারাপ লাগছে। ব্যবসা সহজীকরণের বিষয়ে ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি সব রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে থাকতে হবে। যদিও দেশের ব্যবসায়ীরা এখন ভালো ব্যবসা করছেন। কিন্তু ভালো সুযোগ পেলে ব্যবসায়ীরা আরও বেশি ভালো করবেন। তাই ব্যবসার উন্নয়নে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিফলন দেখতে চাই। একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সেই ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করতে হবে।কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের সততা ও দেশপ্রেম থাকতে হবে। আবার ব্যবসায়ীরা যে কর দেয়, তার একটা মূল্যায়নও নির্বাচনী ইশতেহারে থাকতে হবে। এই করের অর্থ খরচের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা, যেটা এখন নেই। সুদহার কমানোর নির্দেশনাও থাকতে হবে নির্বাচনী ইশতেহারগুলোতে। কারণ, ১২ শতাংশ সুদ দিয়ে ব্যবসা হয় না।

সর্বশেষ খবর